Breaking News

লালবাজার থেকে ছাড়া পেয়ে ফের তোপ সুকান্ত মজুমদারের,সুকান্তকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে মিছিল বিজেপির!

প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- লালবাজার থেকে ছাড়া পেলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। মোমিনপুরের অশান্তির ঘটনার জেরে সেখানে যেতে চেয়েছিলেন তিনি। সেই মোমিনপুরে যাওয়ার পথে সকালে চিংড়িঘাটায় গ্রেফতার করা হয়েছিল সুকান্তকে। সন্ধ্যায় তিনি লালবাজার থেকে মুক্তি পেলেন।এদিন ছাড়া পেয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, চিংড়িহাটাতে কোনও ১৪৪ ধারা ছিল না। কেবলমাত্র মোমিনপুর ও সংলগ্ন জায়গায় ছিল। বৃহত্তর বাংলাদেশ বানানোর চেষ্টা চলছে। সেই চক্রান্ত যেন মিডিয়ার সামনে না আসে। মোমিনপুর এলাকায় কীভাবে নিপীড়িত শোষিত হয়েছেন মানুষ সেটা সোশ্য়াল মিডিয়ার মাধ্যমে ছড়়িয়ে পড়েছে। এই সরকার সম্পূর্ণভাবে জেহাদিদের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে। বাংলার মানুষের এটা ভাবা উচিত। গোটা রাজ্যে এনিয়ে পথ অবরোধ হয়েছে। তবে সেটা শুধু সুকান্ত মজুমদারের গ্রেফতারি নিয়ে নয়। তার থেকেও বড় ইস্যু মোমিনপুরে, একবালপুরে যে ঘটনা হয়েছে তা বাংলার মানুষের জন্য অশনি সংকেত বলে মনে হয়েছে। আলো নিভিয়ে দিয়ে এসব কাণ্ড ঘটানো হয়েছে। দাবি করলেন সুকান্ত মজুমদার। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, এসসি কমিশনকে বলব প্রতিনিধিদল পাঠাতে। মিনি পাকিস্তানের জনকরা যদি সরকারে থাকে তবে বাংলায় অন্ধকার নামবে। কেন্দ্রীয় বাহিনী আসুক বাংলায়। এটা আমাদের দাবি।সুকান্ত মজুমদারের গ্রেফতারের প্রতিবাদে এদিন ক্ষোভে ফেটে পড়েন বিজেপির নেতা-কর্মীরা। মিছিলের পর এমজি রোড, সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ে রাস্তায় বসে পড়েন তাঁরা। বিক্ষোভকারীদের মধ্যে ছিলেন কাউন্সিলর সজল ঘোষও। এদিকে মোমিনপুরের ঘটনার প্রতিবাদে এদিন রাজভবনে যান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী-সহ অন্যান্যরা। সেখান থেকে ঘটনার প্রতিবাদে সোচ্চার হন তাঁরা। এরপর লালবাজারে যান বিরোধী দলনেতা। সেখান থেকে বেরিয়ে যান সিইএসসি-র দপ্তরে যান শুভেন্দু। জানা গিয়েছে, রবিবার রাতে ৩ ঘণ্টা মোমিনপুর এলাকায় বিদ্যুৎ বন্ধ করে রাখা হয়েছিল, কিন্তু কেন, সেই প্রশ্নও তোলেন তিনি। এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, “নাটক করতে গিয়ে পরিস্থিতি খারাপ করা হচ্ছে। পুলিশ ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হচ্ছে।”

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *