দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- মঙ্গলবার সকাল হতেই সবাই দেখলেন সল্টলেকের করুণাময়ীতে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সামনে অবস্থান চলছে প্রাথমিক টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের।এদিকে, টানা অবস্থানের জেরে চাকরিপ্রার্থীদের বেশ কয়েক জন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাঁদের অ্যাম্বুল্যান্সে করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে হাসপাতালে। সোমবার বেলা ১২টা থেকে ২০১৪ সালের প্রাথমিক টেট উত্তীর্ণ নন–ইনক্লুডেড চাকরিপ্রার্থীরা অবস্থান বিক্ষোভে বসেন। সোমবার দুপুর ২টো থেকে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তাঁরা। আজ, মঙ্গলবার সকালেও পর্ষদের অফিসের সামনে বসে রয়েছেন তাঁরা।তাঁদের দাবি, নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় তাঁরা অংশ নিতে চান না। তাঁদের সরাসরি নিয়োগ করতে হবে। বক্তব্য, তাঁরা প্রত্যেকেই ২০১৪ সালে টেট পাশ করেছেন। তার পর দু’বার ইন্টারভিউও দিয়েছেন। কিন্তু তাঁদের হাতে এখনও নিয়োগপত্র দেওয়া হয়নি। অন্য দিকে, আগামী বুধবার থেকে নতুন করে নিয়োগপ্রক্রিয়া শুরু করতে চলেছে পর্ষদ। বিক্ষোভ দেখানো চাকরিপ্রার্থীদের দাবি, এই নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করে আগে তাঁদের নিয়োগপত্র দিতে হবে। ২০১৪ এবং ২০১৭ সালের টেটে ‘ব্যাপক দুর্নীতি’ হয়েছে বলেও অভিযোগ তাঁদের। বেআইনিভাবে প্রাথমিকে চাকরি পাওয়া ব্যক্তিদের অপসারিত করে মেধার ভিত্তিতে টেট-উত্তীর্ণ যোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগ করার দাবি তুলেছেন তাঁরা। ২০১৭ সালে প্রার্থীদের সঙ্গে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কোনও ভাবেই অংশ নিতে চান না বলে সরব হয়েছেন ওই চাকরিপ্রার্থীরা।সোমবার দুপুর থেকে টানা অবস্থানে বসে রয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা। রাত বাড়তেই করুণাময়ী ও সংলগ্ন এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। বিধাননগর কমিশনারেট থেকে প্রচুর মহিলা পুলিশ মোতায়েন করা হয়। রাতেই আন্দোলনকারীদের পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এখানে ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। হাসপাতালে অ্যাম্বুল্যান্স যেতে পারছে না। আইন হাতে তুলে না নেওয়ার জন্য বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে মাইকে আবেদন জানায় পুলিশ। যদিও অবস্থান–বিক্ষোভে অনড় প্রাথমিক টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরা। মাইকে পুলিশকে ঘোষণা করতেও শোনা যায়, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ ও তত্ত্বাবধানে প্রাথমিক বোর্ডের নিয়োগ পদ্ধতি চলছে। ফলে প্রার্থীদের দাবি মেনে নিয়োগ করা সম্ভব নয়।