দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- রাজ্যের শিক্ষাসচিব মণীশ জৈনকে আদালতে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হল রাজ্য সরকার।এসএসসিতে সুপার নিউমেরারি পোস্ট বা অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি করে নিয়োগের জন্য, স্কুল সার্ভিস কমিশনের আনা আবেদনের মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় । শুধু তাই নয়, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার মধ্যে জবাবদিহির জন্য রাজ্যের শিক্ষা সচিব মণীষ জৈনকে তলব করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। কিন্তু শিক্ষাসচিবের হাজিরার সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে গেল রাজ্য সরকার।স্কুল সার্ভিস কমিশনের আইনজীবীদের কাছে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানতে চান, ‘স্কুল সার্ভিস কমিশনকে সামনে রেখে কার নির্দেশে শূন্যপদে অবৈধদের নিয়োগের আবেদন করা হল? যোগ্যপ্রার্থীরা রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছেন। আর অযোগ্যরা নিয়োগ পাচ্ছেন।’ এই প্রশ্নের যথাযথ উত্তর না পেয়ে স্কুল শিক্ষা দফতরের সচিবকে হাজিরার নির্দেশ দেন বিচারপতি। আজ, তাই কলকাতা হাইকোর্টে পৌঁছে যান মনীশ জৈন।বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে বুধবার রাতেই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার। আজ সকালে ডিভিশন বেঞ্চ বসিয়ে আবেদনের বিষয়টি খতিয়ে দেখার আর্জি জানিয়েছে রাজ্য সরকার। প্রধান বিচারপতির সচিবালয় মারফত ই–মেইল করে আবেদন করেছে রাজ্য সরকার।চলতি বছরের মে মাসে স্কুল সার্ভিস কমিশনের চতুর্থ ও তৃতীয় শ্রেণীর কর্মী নিয়োগ এবং নবম–দশম ও একাদশ–দ্বাদশে অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি করে ৮ হাজারের বেশি পদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করে স্কুল সার্ভিস কমিশন। পরে আদালতের অনুমতি নিতে আবেদনও জানায় এসএসসি। সম্প্রতি অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরির সেই আবেদন প্রত্যাহার করতে চান এসএসসির আইনজীবী সূতনু পাত্র| আদালতের নির্দেশে সমস্ত নথি নিয়ে হাজির হন এসএসসি’র চেয়ারম্যান এবং সচিব। সব দেখে শূন্যপদে অযোগ্য প্রার্থীদের পুনরায় নিয়োগের আবেদন করার জন্য আইনজীবীদের উদ্দেশে কমিশনের কোনও নির্দেশিকা ছিল কিনা সেটা জানতে চায় আদালত।
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal