প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- প্রাথমিকের ইন্টারভিউয়ে ভুয়ো কল লেটার নিয়ে এসে ধরা পড়ে গেলেন দক্ষিণ দিনাজপুরের এক যুবক। ধৃতের নাম প্রীতম ঘোষ ৷ শনিবার সল্টলেকে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের মূল দফতর আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র (এপিসি) ভবনে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার চাকরিপ্রার্থীদের ইন্টারভিউ ছিল। ইন্টারভিউ চলাকালীন কিছু বিষয় লক্ষ করেই ওই যুবককে নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়। তারপরেই লক্ষ্য করা হয় ইন্টারভিউয়ের জন্য সঙ্গে আনা কল লেটারে ওই যুবকের স্বাক্ষর নেই ৷ তাতেই প্রীতমকে আটক করা হয় ৷ঘটনায় প্রীতমের পাশাপাশি একজনকে গ্রেফতার ও আরও একজনকে আটক করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে একজন যুবকের আত্মীয় ও অন্যজন পাড়া-প্রতিবেশী বলে জানা গিয়েছে। তাদেরকেও জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। বিধাননগর পূর্ব থানার পুলিশ মোতায়েন রয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদে। ভুয়ো চাকরিপ্রার্থীর দাবি, ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে ওই কল লেটার সে পেয়েছিল। ওই ভুয়ো কল লেটার ধরা পড়ার পরই এনিয়ে বিধাননগর পূর্ব থানায় অভিযোগ করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। কার কাছ থেকে সে ওই কল লেটার পেয়েছিল, এর জন্য কত টাকায় রফা হয়েছিল তা এখন জানার চেষ্টা করছে পর্যদ। পুলিশ এনিয়ে এখনও স্পষ্ট করে কিছু বলেনি।
তবে সূত্রে খবর, এই প্রীতম ঘোষের কল লেটার নিয়ে কথা হয়েছিল কাকা নামে একজনের সঙ্গে। তাকে ফোন করে ডেকে আনা হয়। তাকেও আটক করেছে পুলিস। ওই কাকা-ই প্রীতমকে বলেছিলে ওরিজিনাল অ্যাডমিট কার্ড তিনি পাইয়ে দেবেন। এনিয়ে তদন্ত শুরু করেছে বিধাননগর থানা। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গিয়েছে প্রীতমের সঙ্গে আরও ২ জন চাকরিপ্রার্থী ছিল। তাদেরও খোঁজ শুরু করেছে পুলিস। ফলে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে এই চক্রের জাল আরও লম্বা কিনা। পর্ষদের আধিকারিক পার্থ কর্মকার বলেন, যখন কোনও প্রার্থী ইন্টারভিউ দেওয়ার জন্য আমাদের অফিসে আসে তখন গেটেই কল লেটার একবার পরীক্ষা করে নেওয়া হয়। ছবি, নাম, আমদের লিস্টে থাকা নাম খতিয়ে দেখা হয়। আজ সেইরকম পরীক্ষার সময়ে সন্দেহ হয় লিস্টে এই অভিযুক্তের নাম নেই। সঙ্গে সঙ্গে তারা আমাকে জানান। আমরা পরীক্ষা করে দেখলাম আমাদের লিস্টে ওই রোল নম্বরে যে নাম রয়েছে তার সঙ্গে অভিযুক্তের নাম মিলছে না। ওই রোল নম্বরে রয়েছে অন্য জেলার অন্য একজনের নাম। তখনই পুলিশকে জানানো হয়।
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal