দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- কলকাতার স্ট্রিট ফুডের জন্য বিখ্যাত ডেকার্স লেনে ফুটপাথে বসেই খাওয়াদাওয়া সারলেন শতাব্দী রায় । সঙ্গী দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।অথচ শুক্রবারই ‘দিদির দূত’ হয়ে জনসংযোগ করতে গিয়ে বীরভূমের একটি গ্রামে মধ্যাহ্নভোজ নিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন। আর আজ ফুটপাথে খেতে খেতেই বুঝিয়ে দিলেন, বিতর্ক নিতান্তই অমূলক।ডেকার্স লেনের ক্লাসিক ফাস্ট ফুড সেন্টারের সামনে এদিন যান শতাব্দী। এরপর বাসন্তী পোলাও আর লেমন ফিসের অর্ডার দেন তাঁরা। তারপর বেশ তৃপ্তিভরেই তিনি খান। কুণাল ঘোষও তাঁর পাশে বসে একই মেনু খান। সঙ্গে চা ছিল। এদিকে আচমকাই তারকা সাংসদকে এভাবে ফুটপাতে খেতে দেখে হতচকিত হয়ে পড়েন আমজনতা। ঠিক যেভাবে সাধারণ মানুষ গিয়ে ডেকার্স লেনে খেতে বসেন সেভাবেই বসলেন শতাব্দী। এরপর বেশ খুশি মনেই খেলেন তিনি। এর সঙ্গেই কথা প্রসঙ্গে বীরভূমের বিতর্কের কথাও উঠে এল। তবে শুক্রবারের মতোই তিনি এদিন যাবতীয় বিতর্কে জল ঢালার সবরকম চেষ্টা করেন। শতাব্দী এদিনও জানিয়ে দেন, তিনি দলের কর্মীর বাড়িতেই খাওয়াদাওয়া করেছেন। এর আগেও তিনি কর্মীদের বাড়িতে খাওয়াদাওয়া করেছেন। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে তিনি খাবারের সামনে কিছুক্ষণ বসেই খাবার ছেড়ে উঠে পড়ছেন। এদিকে দুপুরের ভাত ছেড়ে উঠতে চান না অনেকেই।
কিন্তু শতাব্দী অবশ্য সকলের সামনেই উঠে পড়েছিলেন বলে দাবি করা হচ্ছে।শতাব্দী জানিয়েছেন, দিদির সুরক্ষা কবচকে কেন্দ্র করে খেয়েছি না খাইনি তা নিয়ে বলা হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরেই আমি সাংসদ। কর্মীদের বাড়িতে খাওয়াটা নতুন কিছু নয়। কালকেও খেয়েছি। দাবি করেন সাংসদ। অন্যদিকে কুণাল ঘোষের দাবি, তিনি অভিনেত্রী, নায়িকা। গ্রামে বহুবার যান। তিনি খাননি এটা বলাটা ভিত্তিহীন।এ নিয়ে তুমুল বিতর্ক বাংলা জুড়ে। বিরোধীরা এনিয়ে তুমুল কটাক্ষ করছেন। তবে কি ড্যামেজ কন্ট্রোলের জন্যই তিনি এদিন কুণালকে সঙ্গে নিয়ে কলকাতার ফুটপাতে বাসন্তী পোলাও খেলেন? প্রশ্নটা উঠছে সাধারণ মানুষের মধ্যেও|