দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মদিন উপলক্ষ্যে রাজ্যে সরকার ছুটি দিয়েছে এই দিনে। তারপরেও কাজ চলল নবান্নে। কারণ বিহারের কৃষিমন্ত্রী কুমার সরবজিৎ এলেন কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে।জানা গেল, এ রাজ্যের কৃষিক্ষেত্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রকল্পগুলি নিয়ে জানতে চান বিহারের মন্ত্রী। এখানে যেভাবে ওই প্রকল্পগুলির সুবিধা পাচ্ছেন কৃষকরা, তাতে বিহারও আগ্রহী। নবান্ন সূত্রে খবর, বাংলার কৃষিক্ষেত্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রকল্পগুলি জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। তাছাড়া পঞ্চায়েত এবং কৃষির কাজকর্মে সাফল্য পেয়েছে বাংলা। তার জন্য শংসাপত্র মিলেছে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে। তাই সেগুলি নিয়ে বিস্তারিত জানতে চান বিহারের মন্ত্রী কুমার সরবজিৎ। বাংলর প্রকল্পগুলির সুবিধা যেমন করে পাচ্ছেন কৃষকরা সেগুলি তিনি জানতে চান। তাই এইসব বিষয়ে আলোচনা করতে আসছেন মন্ত্রী কুমার সরবজিৎ।এখানে কৃষকদের জন্য প্রকল্পগুলিতে এক পয়সাও দিতে হয় না কৃষকদের। বিমার প্রিমিয়াম সবটাই বহন করে রাজ্য সরকার। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে চাষের ক্ষতি হলে মেলে হাতে হাতে ক্ষতিপূরণ। ‘বাংলা শস্য বিমা যোজনা’য় চাষিদের ২২৮৬ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ দিয়ে নজির গড়েছে নবান্ন। কেন্দ্রের এক নয়া–পয়সা সাহায্য ছাড়া এত বড় শস্য বিমা প্রকল্প গোটা দেশেই বিরল। সেটা কেমন করে সম্ভব হল তা জানতেই জরুরি বৈঠকে বসছেন দুই রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী বলে সূত্রের খবর।
ছুটির দিনে কৃষিমন্ত্রী কুমার সরবজিতের এভাবে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের সাক্ষাৎপ্রার্থী হওয়ার খবরে সেই জল্পনাই উসকে উঠছে। বাংলায় শস্য বিমা যোজনা ও কৃষকবন্ধুর প্রকল্পের সমতুল্য কেন্দ্রের দুটি প্রকল্প রয়েছে – প্রধানমন্ত্রী কিষাণ নিধি যোজনা ও কৃষি বিমা যোজনা। কিন্তু এর তুলনায় রাজ্যের দুটি প্রকল্প অনেক বেশি বিজ্ঞানসম্মত ও সুযোগ সুবিধা বেশি। যা বিহারকে আগ্রহী করে তুলেছে। সূত্রের খবর, ওই প্রকল্পগুলি সম্পর্কে আরও বিস্তারিত খোঁজখবর নিতেেই তড়িঘড়ি কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের সাক্ষাৎ চেয়েছেন বিহারের মন্ত্রী।