Breaking News

ধর্মনিরপেক্ষতার থিমে বাগদেবীর আরাধনা প্রেসিডেন্সিতে,ফেসবুকে আমন্ত্রণপত্র পোস্ট টিএমসিপি-র!

প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :-প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে পুজো হচ্ছে জানিয়ে সোমবার রাতে ফেসবুক পোস্ট করল তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রেসিডেন্সি ইউনিট। পুজো নিয়ে টানাপোড়েনের মধ্যেই টিএমসিপি-র দাবি তারা কর্তৃপক্ষকে বোঝানোর চেষ্টা করেছে। না হলে গেটের বাইরেই তারা পুজো করবে।ধর্মনিরপেক্ষতাকেই থিম করে সরস্বতী পুজো করবে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। ২৬ জানুয়ারি অর্থাৎ সাধারণতন্ত্র দিবসে প্রেসিডেন্সির মূল ফটকের বাইরে হবে বাগদেবীর আরাধনা। পুজোর থিম হচ্ছে, ‘দেশ সেক্যুলার, প্রেসিডেন্সি সেক্যুলার’। শুধু ধর্মনিরপেক্ষতা নয়, সর্বধর্ম সমন্বয়ে হবে পুজো। প্রেসিডেন্সির প্রাক্তনী তথা মহিলা পুরোহিত সারবেন পুজো।সর্বধর্ম সমন্বয়ের প্রতীক হিসেবে প্রতিমার চারপাশে থাকবে বিভিন্ন ধর্মের প্রতীক। পিছনে থাকবে তেরঙ্গা অর্থাৎ জাতীয় পতাকা। প্রতিমা হবে ডাকের সাজের। তৃণমূল ছাত্র পরিষদ বলছে, ২৬ জানুয়ারি ভারত ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছিল। সেই সাধারণতন্ত্র দিবসেই এবার সরস্বতী পুজো হচ্ছে। তাই প্রতিমার সঙ্গে থাকবে জাতীয় পতাকা। আবার ধর্মনিরপেক্ষতার অজুহাতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসেই পুজোর অনুমতি দেয়নি কর্তৃপক্ষ। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের অভিযোগ, ধর্মনিরপেক্ষতাকে নেতিবাচক অর্থে ব্যবহার করেছে কর্তৃপক্ষ। তাই তারা সেই ‘সেক্যুলার’ বিষয়টিকেই থিমের মাধ্যমে তুলে ধরছেন পুজোয়। বার্তা একটাই, “দেশ ধর্মনিরপেক্ষ, প্রেসিডেন্সিও ধর্মনিরপেক্ষ। তাই পুজো হচ্ছেই।”সোমবার রাতে টিএমসিপি প্রেসিডেন্সি ইউনিটের পক্ষ থেকে যে পোস্টটি করা হয়েছে তাতে একটি আমন্ত্রণপত্র দেওয়া হয়েছে ।

সরস্বতীর ছবি দেওয়া সেই আমন্ত্রণপত্রে লেখা রয়েছে, ‘প্রেসিডেন্সিতে সরস্বতী পুজো হচ্ছে, সকলের আমন্ত্রণ রইল।’ উদোক্তা হিসাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ ছাত্রছাত্রী ও তৃণমূল ছাত্র পরিষদ ইউনিট লেখা রয়েছে।মঙ্গলবার অর্থাৎ আজ থেকে একটি হ্যাসট্যাগও চালু করা হচ্ছে। যাঁরা প্রেসিডেন্সিতে সরস্বতী পুজোকে সমর্থন করছেন তাঁরা #PresidencyPujaKorche হ্যাসট্যাগ ব্যবহার করে পোস্ট করবেন বলে টিএমসিপি-র থেকে অনুরোধ করা হয়েছে।প্রেসিডেন্সির এক প্রাক্তনীর মতে, ‘ ডিরোজিওর আর্দশে বিশ্বাসী প্রেসিডেন্সিতে ক্যাম্পাসের মধ্যে পুজো করা উচিত নয়। তবে তাঁরা গেটের বাইরে পুজো করতেই পারে। ঠিক যে ভাবে সিটি কলেজগুলিতে পুজো হয়। ওই কলেজগুলি ব্রাহ্মধর্মে বিশ্বাসীরা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তাই কলেজের ভিতর সরস্বতী পুজো হয় না। গেটের বাইরে ইউনিয়নের তরফে পুজো হয়। ‘

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *