দেবরীনা মণ্ডল সাহা :- রাজ্যের নবম-দশমের সিলেবাস বদলের পরামর্শ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু । শিক্ষক বদলি সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানিতে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেলকে এই পরামর্শ দেন বিচারপতি |মাধ্যমিক শুরুর আগের দিনই নবম-দশমের সিলেবাস বদলের উপর গুরুত্ব দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। বুধবার তিনি রাজ্য সরকারকে মাধ্যমিকের সিলেবাস নিয়ে ভাবনাচিন্তা করার পরামর্শ দিয়েছেন। এদিন এজলাসে হাতে নবম-দশমের সিলেবাস দেখিয়ে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়কে এমনটাই বার্তা দিলেন বিচারপতি বসু। এদিন বিচারপতি বসু এজির কাছে মাধ্যমিকের পড়ুয়া কমে যাওয়ার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, নবম-দশম শ্রেণির পাঠ্যক্রমের সিলেবাস অনেক পুরনো। অন্যান্য বোর্ডের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সিলেবাস সংস্কার করুক রাজ্য। এই সিলেবাস ৪ বছরেরও বেশি পুরনো। এবার মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসতে চলেছে ৬ লক্ষ ৯৮ হাজার ৭২৪ জন পরীক্ষার্থী। গত বছরের তুলনায় এই সংখ্যা অনেক কম। বিচারপতি বসুর পর্যবেক্ষণ, এ বছর মাধ্যমিকে চার লক্ষ পরীক্ষার্থী কমে গিয়েছে। এটা কেন হল রাজ্যকে ভাবতে হবে। শিক্ষক নিয়োগ করলে, সেই শিক্ষকেরা কাদের পড়াবেন সেটা আগে চিন্তা করা প্রয়োজন। পড়ুয়া না থাকলে শিক্ষক থেকে লাভ কী ?তিনি আরও বলেন, সিলেবাসে বদল আনার কথা ভাবুক রাজ্যের শিক্ষা দফতর। আইসিএসই, সিবিএসই বোর্ডের থেকে কোনও অংশে কম নয় আমাদের মাধ্যমিক বোর্ডের পড়ুয়ারা।
বিচারপতি বসুর প্রশ্ন, শুধু শিক্ষক নিয়োগ করে তাতে লাভ কী হবে ? তাঁর কথায়, যে স্কুলে ছাত্রসংখ্যা ৩০, সেখানে শিক্ষক ১২। দিনভর ঝগড়া চলছে সেখানে শিক্ষকদের মধ্যে । সিলেবাসে বদল এনে রাজ্য নতুন কিছু ভাবুক । আদালত কতটুকুই বা করতে পারে !বিচারপতির এই পরামর্শ শুনে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল জানান, বিচারপতির বার্তা মেনে পদক্ষেপের জন্য চেষ্টা করা হবে । বদলি নীতি পরিবর্তনের জন্য এ দিন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেলকে ধন্যবাদও জ্ঞাপন করেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু ।এজি বলেন, বিচারপতির পরামর্শমতো পদক্ষেপের চেষ্টা করব। একই সঙ্গে বদলি নীতি পরিবর্তনের জন্য এদিন এজিকে ধন্যবাদও জানান বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। প্রসঙ্গত, বিচারপতি বসুর জন্যই রাজ্য সরকার শিক্ষকদের বদলির ক্ষেত্রে নতুন নিয়ম চালু করেছে। বিচারপতি বদলি নীতি নিয়েও তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন।