প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- মহানগরে ১ এপ্রিল থেকেই বেড়ে গেল পার্কিং ফি। প্রতি ঘণ্টায় বাইকের ক্ষেত্রে পার্কিং ফি ৫ টাকা থেকে বেড়ে হল দশ টাকা। ৪ চাকার গাড়ির ক্ষেত্রে দশ টাকা হল ২০টাকা। ২ ঘণ্টা পর ২টি ক্ষেত্রেই দ্বিগুণ হারে বাড়বে পার্কিং ফি। অর্থাত্ গাড়ির ক্ষেত্রে ২০ টাকা হবে ৪০ টাকা। ৩ ঘণ্টা হলেই তা হয়ে যাবে ৮০ টাকা। এতদিন বাস, লরি পার্কিংয়ের ক্ষেত্রে ২০ টাকা দিতে হত। কিন্তু নতুন ফি কাঠামোয় দিতে হবে ৪০ টাকা।আজ থেকে শহরে চালু হল নতুন হারে পার্কিং ফি। তবে যেখানে পিওএস মেশিন চালু হয়েছে সেখানে নগদে পার্কিং ফিরে নেওয়া যাবে না বলেই সংস্থাগুলিকে নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা পুরসভা। সেক্ষেত্রে নগদে পার্কিং ফি নিলে সংস্থাকে জরিমানার মুখে পড়তে হবে বলে কড়া বার্তা দিয়েছে পুরসভা। শুক্রবার উত্তম মঞ্চে সংস্থাগুলিকে নিয়ে একটি কর্মশালার আয়োজন করা হয়। সেখানে পার্কিং লট পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত সমস্ত বেসরকারি সংস্থাকে এ বিষয়ে অবগত করা হয়েছে।মেয়র ফিরহাদ হাকিম শুক্রবার বলেছেন, ‘যাতে কোনওভাবেই নির্দিষ্ট হারের বেশি পার্কিং ফি নেওয়া না হয় তার জন্য পুরসভা অ্যাপ-ভিত্তিক পার্কিং ব্যবস্থা বাস্তবায়নের জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে। আমরা পার্কিং ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা আনতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তাই আমরা পুরো শহরের পার্কিং লটে অ্যাপ-ভিত্তিক নগদহীন লেনদেন বাস্তবায়ন করছি। আমরা সমস্ত পার্কিং সংস্থাকে অ্যাপ-ভিত্তিক, নগদহীন ব্যবস্থার মাধ্যমে ফি নিতে বলেছি। তারপরেও নগদে পার্কিং ফি নেওয়া হলে আমরা সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।’এদিকে পার্কিং ফি বাড়লেও চিন্তা যাচ্ছে না বেআইনি পার্কিং নিয়ে। খোদ কলকাতা পুরনিগমের নিজস্ব তথ্য বলছে, শহরের প্রায় ৩৫ থেকে ৩৮ শতাংশ রাস্তা বেআইনি পার্কিংয়ের দখলে চলে গিয়েছে। অভিযোগ, বছরের পর বছর ধরে প্রতিটি বেআইনি পার্কিং লট নিয়ন্ত্রণ করছে ক্ষমতায় থাকা দলের ইউনিয়নগুলি।
শহরের প্রায় প্রতিটি কোণে কোণে এখন বেআইনি পার্কিংয়ের রমরমা। এর মোকাবিলা করার ব্যাপারে শীঘ্রই বৈঠকে বসছে পুরসভা। ২০২৩-২৪ অর্থ বর্ষের বাজেটে ফি বাড়ানোর সিদ্ধান্তে সিলমোহর পড়ে। অবশেষে সেই সিদ্ধান্তই আজ থেকে রূপায়িত হচ্ছে। অন্যদিকে বাস বা লরির ক্ষেত্রে ৪ ঘণ্টা পার্কিং করলে এখন থেকে দিতে হবে ২৪০ টাকা। পাঁচ ঘণ্টার বেশি হলেই নেওয়া হবে ৩২০ টাকা। আর এই সময়সীমা পার করলেই ঘণ্টা পিছু দিতে হবে ২০০ টাকা। পার্কিং করা গাড়ী চালকদের একাংশ পুরসভার এই সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ। পাশাপাশি, পার্কিং ফি আদায়ে নিযুক্তরাও এর জেরে কথা কাটাকাটির আশঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছেন না। পার্কিং কর্মীদের দাবি, বৈধ পার্কিংয়ের পাশেই শহরের একাধিক রাস্তায়, এমনকী ঘিঞ্জি সরু গলিতেও থরে থরে গাড়ি পার্কিংয়ের ক্ষেত্রে ট্রাফিক পুলিসকে ফাইন করে থাকে।