Breaking News

মমতাকে না জানিয়ে পার্কিং ফি বৃদ্ধি!অভিষেক কানে তুলতেই ফিরহাদকে সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের নির্দেশ,জানালেন কুণাল ঘোষ

দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :-শহরে পার্কিং-এর খরচ বেড়েছে সম্প্রতি। কোনও কোনও ক্ষেত্রে সেটা বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অজ্ঞাতসারেই বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে পার্কিং ফি, এমনটাই দাবি করলেন তৃণমূলে মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। এই খরচ বাড়ার বিষয়টি জানতে পেরেই মমতা তৎপর হয়েছেন বলেও দাবি করেছেন কুণাল। কলকাতা শহরের রাস্তায় গাড়ি রাখার ক্ষেত্রে পার্কিং ফি বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করা হয় কলকাতা পুরসভার পক্ষ থেকে। এবার এই বিষয়ে উল্টো সুর শোনা গেল শাসকদলের অন্দরে। জানা গিয়েছে এই পার্কিং ফি বৃদ্ধি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর রোষের মুখে পড়েছেন মেয়র। প্রশ্ন উঠেছে মুখ্যমন্ত্রীর অনুমতি না নিয়ে কি করে ফি বৃদ্ধি করা হল।তৃণমূলের পক্ষ থেকে কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন যে পুরসভাকে এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী কথা বলেছেন। কুণাল ঘোষ সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছেন, ‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বিষয়টি নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলেছেন। মুখ্যমন্ত্রীর এটা স্পষ্ট সিদ্ধান্ত যে এই ফি বৃদ্ধি মুখ্যমন্ত্রীর অনুমতি বা অনুমদন সাপেক্ষে হয়নি। তাঁরা জানতেন না এই ধরনের একটা চাপ মানুষের উপর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সিদ্ধান্ত যে স্তরেই নেওয়া হয়ে থাকুক সরকার বা দল এই সিদ্ধান্ত অনুমোদন করে না। মুখ্যমন্ত্রী মেয়রকে জানিয়ে দিয়েছেন যে সিদ্ধান্ত কলকাতা পুরসভা নিয়েছিল সেই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা হবে এটা দলের সিদ্ধান্ত। সম্ভবত আজকের মধ্যেই পুরসভাকে এই সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়ে হবে’।

গত ১ এপ্রিল পার্কিং-এর খরচ বাড়ানো হয়েছে। চার চাকার গাড়ির ক্ষেত্রে যেখানে প্রতি ঘণ্টায় দিতে হত ১০ টাকা, ১ এপ্রিল থেকে সেটা বেড়ে হয়েছে ২০ টাকা। এভাবেই অন্যান্য গাড়ির ক্ষেত্রেও ফি বৃদ্ধি হয়েছে।তবে পার্কিং ফি বাড়ানোর বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীর অনুমতি বা অনুমোদন হয়নি বলেই দাবি তৃণমূল মুখপাত্রের। তিনি বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী জানতেন না যে, মানুষের ওপর চাপ পড়তে পারে, এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। যে স্তরেই সিদ্ধান্তটা নেওয়া হোক, সেটা সরকার বা দল অনুমোদন করে না। মুখ্যমন্ত্রী মহানাগরিককে (মেয়র ফিরহাদ হাকিম) জানিয়ে দিয়েছেন, যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, তা প্রত্যাহার করতে হবে। আজকের মধ্যেই পুরনিগমকে সিদ্ধান্ত নিয়ে নিতে হবে।’কুণাল ঘোষের এই বক্তব্যের প্রশ্ন উঠছে, তবে কি মমতাকে না জানিয়েই সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছিলেন ফিরহাদ? এ বিষয়ে অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের ভূমিকাও তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *