দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলকে হারাতে কি রাম-বাম জোট হবে? বামেরা অবশ্য সরাসরি এই জল্পনায় জল ঢেলে দিয়েছেন। তাঁদের স্পষ্ট বার্তা, তেমন কোনও সম্ভাবনাই নেই। এই জোট নিয়ে সরাসরি কিছু বলেননি বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তবে পঞ্চায়েত নির্বাচনে যেখানে তাঁরা প্রার্থী দিতে পারবেন না, সেখানে তাঁরা ‘কৌশলগত’ অবস্থান নেবেন জানিয়েছেন তিনি। সাংবাদিকরা যখন তাঁকে জিজ্ঞাসা করেন, বিজেপি কি পঞ্চায়েত ভোটে সব আসনে প্রার্থী দিতে পারবে না? তাই কি তারা কেন্দ্রীয় বাহিনী চাইছে? উত্তরে সুকান্ত মজুমদার জানিয়ে দেন, বিজেপি সব আসনে প্রার্থী দেবে। তিনি বলেন,’এতে তৃণমূলের চিন্তার কী? আমরা প্রার্থী নিতে দিতে না পারলে তাদেরই তো ভালো।’ এর পর তিনি বলেন,’যেখানে আমরা প্রার্থী দেব না, সেখানে কৌশলগত অবস্থান নেব।’ এই কৌশলগত অবস্থান কী? বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, ‘এটা ক্রমশ প্রকাশ্য।’
রাজনৈতিক মহল মনে করছে, সুকান্তর এই ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য বুঝতে কারও অসুবিধা নেই যে, পঞ্চায়েত ভোটে যেসব আসনে সিপিএম শক্তিশালী সেখানে তাদের সঙ্গে তলেতলে জোট করবে বিজেপি। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও প্রায়শই মহাজোটের ইঙ্গিত দিচ্ছেন।এদিকে, পঞ্চায়েতে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়েও শাসক-বিরোধী তরজা শুরু হয়েছে। সুকান্ত মজুমদার এদিন বলেছেন, পঞ্চায়েত ভোট কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে হওয়া উচিত। কিন্তু কোর্ট না চাইলে আমাদের কিছু করার নেই। রাজ্য নির্বাচন কমিশন যদি কেন্দ্রীয় বাহিনী না চায়, তাহলে হিংসার ঘটনার দায় কমিশনকেই নিতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সুকান্ত। রাজ্যে একাধিক সমবায় সমিতির ভোটে গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে জোট করে জয় পেয়েছে বামেরা। কিছু ক্ষেত্রে আবার উল্টোটা হয়েছে। আবার সাগরদিঘি উপনির্বাচনে বামেদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কংগ্রেস আটকে দিয়েছে তৃণমূলকে। ওই ভোটে বিজেপি সেভাবে লড়াই করেনি। রাজনৈতিক মহলের একাংশের ব্যাখ্যা, তৃণমূলকে আটকাতে বিজেপি কংগ্রেস, বামেদের জমি ছেড়ে দিয়েছে।