Breaking News

সংক্রান্তির সকালে বেলুড় মঠে সিভি আনন্দ বোস,যোগ দিলেন বিশেষ অনুষ্ঠানে!নববর্ষে রাজভবন থেকে বাংলায় ভাষণ দেবেন রাজ্যপাল‌

দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- চৈত্র সংক্রান্তির সকালেই বেলুড় মঠে হাজির হলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। কলসি ভরে গঙ্গাজল তুলে দিলেন কোচির রামকৃষ্ণ মিশনের মহারাজদের হাতে। রাজ্যপালকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন মহারাজরা। কোচির রামকৃষ্ণ মিশনের ৭৫ তম বর্ষের শুভ উদ্বোধনে ব্যবহার হবে বেলুড়মঠের মা সারদা দেবীর গঙ্গার ঘাট থেকে জল সংগ্রহ করলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। সঙ্গে ছিলেন কোচির রামকৃষ্ণ মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী ভুবনআত্মা নন্দ মহারাজ। কেরালার রামকৃষ্ণ মিশনের অনুষ্ঠানের জন্য গঙ্গার জল নিতেই তার এই আগমন।জানা গিয়েছে, কোচির রামকৃষ্ণ মিশনের মহারাজরা চেয়েছিলেন বেলুড় মঠের মায়ের ঘাটের গঙ্গাজলে ৭৫ বছরের অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা হোক। সেই মতোই বৃহস্পতিবার রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালকে বেলুড় মঠে আসার আমন্ত্রণ জানান কোচির মহারাজরা।এদিন সকালে সাড়ে আটটা নাগাদ বেলুড় মঠে পৌঁছে যান রাজ্যপাল। তাঁর হাতে গঙ্গার জলের কলসি তুলে দেন মঠের মহারাজরা। সেই কলস কোচির মহারাজদের হাতে তুলে দেন রাজ্যপাল।এর আগে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে বেলুড় মঠে এসেছিলেন রাজ্যপাল। সেবার বেলুড় ঘুরে দেখে উচ্ছ্বসিত রাষ্ট্রপতি বলেন, কলকাতায় এলেই বেলুড়ে আসব। সেদিনও তাঁর বেলুড় মঠ পরিদর্শনকে ঘিরে পুলিশ-প্রশাসনে ছিল সাজসাজ রব। মঠ ও মিশন কর্তৃপক্ষও রাষ্ট্রপতির আগমন উপলক্ষে বিশেষ ব্যবস্থা রেখেছিল। তাঁর নিরাপত্তার কারণে সকাল থেকে বেলা ১০টা পর্যন্ত সাধারণ ভক্তদের প্রবেশ বন্ধ রাখা হয়েছিল। রাষ্ট্রপতির যাত্রাপথ জুড়ে ব্যাপক পুলিশি নজরদারির ব্যবস্থা ছিল।‌

রাত পোহালেই বাংলা নববর্ষ। তাই নতুন বছরে চমক থাকলে মন্দ হয় না। তাই এবার রাজ্যবাসীকে চমকে দিতে চান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এই উপলক্ষ্যে রাজভবনে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে। সেই অনুষ্ঠান থেকেই রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস বাংলায় ভাষণ দেবেন বলে সূত্রের খবর। এই সিদ্ধান্তের পিছনে তিনটি কারণ আছে। এক, বাংলা নববর্ষ। তাই এই রাজ্যের রীতি পালন করতেই বাংলা ভাষায় ভাষণ। দুই, সরস্বতী পুজোর দিনে তিনি হাতেখড়ি নিয়েছিলেন। সুতরাং বাংলা ভাষা তিনি কতটা শিখেছেন সেটা প্রমাণ করা। আর তিন, এই বাংলা ভাষাতেই ভাষণ দিয়ে তিনি রাজ্যের মানুষের কাছে পৌঁছতে চান তাঁর বার্তা। ইতিমধ্যেই রাজভবনে সাধারণের জন্য প্রবেশের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেখানে যদি কোনও নাগরিকের সঙ্গে বড়লাটের কাকতালীয়ভাবে দেখা হয়ে যায় তখন বাংলা ভাষাই তিনি ব্যবহার করবেন। বলা যেতে পারে, নববর্ষেই বাঙালি হওয়ার পথে এগোচ্ছেন রাজ্যপাল। বাংলা নববর্ষের আগে রাজ্যে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি বীরভূম থেকে বঙ্গবাসীর জন্য কি বার্তা দেন সেদিকে তাকিয়ে সকলেই।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *