Breaking News

‘শ্বেতহস্তির মতো দাপাচ্ছেন, আচার্য বিলে সই করুন!’ রাজ্যপালকে কড়া বার্তা ব্রাত্য বসুর

প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- ফের একবার প্রকাশ্যে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত। নবান্নকে অন্ধকারে রেখেই এককভাবে কাজ করছেন রাজ্যপাল। মুখ্যমন্ত্রীকেও কিছু জানাচ্ছেন না। বাঙালির সেন্টিমেন্টকে মান্যতা দিলে উপাচার্য বিল ছেড়ে দিন। এমনটাই মন্তব্য ব্রাত্য বসুর। এদিন রাজ্যপালকে ‘শ্বেত মত্ত হস্তি’ বলেও আক্রমণ করেন শিক্ষামন্ত্রী।

রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের সাম্প্রতিক পদক্ষেপে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এতটাই ক্ষুব্ধ যে, তাঁকে সোজা সাদা হাতির সঙ্গে তুলনা করে বসলেন। শুধু তাই নয়, ফের মুখ্যমন্ত্রীকে আচার্য করার উদ্যোগ শুরুর ইঙ্গিতও দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। শুক্রবার দুপুরে রাজভবনের অদূরে বি আর আম্বেডকরের মূর্তিতে মালা দিতে এসেছিলেন ব্রাত্য বসু। সেখানে তিনি বলেন,’রাজ্যপাল নিজের খেয়ালখুশি অনুযায়ী কাজ করছেন। কাউকে কিছু জানাচ্ছেন না। শ্বেত হস্তির মতো দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ঘুরে বেড়াচ্ছেন।’চলতি সপ্তাহেই রাজ্যপাল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে যান একই দিন দু’বার। বারাসত বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে যান রাজ্যপাল। প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়াদের মাসে একদিন ‘মিডডে মিল’ দেওয়ার ঘোষণা করেন তিনি। শিক্ষামন্ত্রীর অভিযোগ, তাঁর এই সফর নিয়ে শিক্ষা দফতর বা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, কাউকেই জানানো হয়নি।শিক্ষামন্ত্রীর অভিযোগ, ‘রাজ্যপাল ইচ্ছা করে আচার্য নিয়োগের বিল (যাতে মুখ্যমন্ত্রীকে রাজ্যের অধীনস্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য করার কথা বলা হয়েছে) আটকে রেখেছেন। যেখানে সুপ্রিম কোর্ট বলেছে রাজ্যপাল দু’সপ্তাহের বেশি কোনও বিল আটকে রাখতে পারেন না, সেখানে ১০ মাস আচার্য নিয়োগের বিল আটকে রাখা হয়েছে। হয় বিলে সই করুন না হয় ফেরত পাঠান। আমরা আবার বিধানসভায় পাশ করাবো।’ এই প্রসঙ্গেই তিনি বলেন, রাজ্যপাল বোসের সঙ্গে রাজ্য সরকার প্রথম থেকেই সমন্বয় রেখে চলার চেষ্টা করা হচ্ছিল। কিন্তু যত দিন যাচ্ছে, দেখা যাচ্ছে তিনি তাতে অনিহা দেখাচ্ছেন।’ ব্রাত্যের কথায়, ‘শিক্ষাব্যবস্থায় রাজভবনের নিয়ন্ত্রণ কোনওভাবেই মেনে নেবে না রাজ্য সরকার।’ তিনি আরও বলেন,’রাজ্যপাল উপাচার্য নিয়োগ করছেন। কাকে নিয়োগ করছেন বলছেন না। আমাকেও বলছেন না, মুখ্যমন্ত্রীকেও বলছেন না। এই একক নিয়ন্ত্রণ মেনে নেবো না।’

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *