দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- জেলা আদালতে মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত অমর্ত্য সেনের জমির বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ করতে পারবে না বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার এমনই নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। ১০ মে দুপুর ২টোয় জেলা আদালতে এই সংক্রান্ত মামলাটির শুনানি হওয়ার কথা। দিন কয়েক আগেই অমর্ত্য সেনকে পৈতৃক ভিটের ১৩ ডেসিমেল জায়গা খালি করে দেওয়ার জন্য উচ্ছেদের নোটিস দেয় বিশ্বভারতী। ৬ মে মধ্যে খালি করে দেওয়ার কথা বলা হয়। এই নোটিশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টে মামলা করেন নোবেলজয়ী। আরজি জানানো হয় জরুরি ভিত্তিতে শুনানির জন্য। বৃহস্পতিবার সকালে উচ্ছেদের উপর স্থগিতাদেশ দেন বিচারপতি। প্রসঙ্গত, এর আগে এই জমি বিতর্ককে কেন্দ্র করে নিম্ন আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন নোবেলজয়ী।
কিন্তু বিশ্বভারতী জমি খালি করার জন্য সময় বেঁধে দেওয়ায় হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন অমর্ত্য সেন। আবেদনে তিনি জানান, ৬ মের পর বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ তাঁর জমি কেড়ে নিতে পারে। তিনি আবেদনে এও জানান যে, সিউড়ি আদালত তাঁর আবেদনের গুরুত্ব বুঝতে পারেনি। জমি ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে সিউড়ি কোর্টে আগেই মামলা করেছিলেন নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেন। সেখানে ১৫ মে মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল। বিশ্বভারতীর আবেদনের প্রেক্ষিতে মামলার শুনানি এগিয়ে ১০ মে করল হাইকোর্ট। তাই ৬ মে জমিখালি করার নোটিসের উপর স্থগিতাদেশ জারি করলেন বিচারপতি বিভাস রঞ্জন দে। বিশ্বভারতীর দাবি ছিল, এই মামলা গ্রহণযোগ্য নয়। বিশ্বভারতী তাঁকে ৬ মে খালি করে দিতে নির্দেশ দেয়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছেলে রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর ৯৯ বছরের জন্য ১.৩৮ একর জমি লিজে দিয়েছিলেন। ওই লিজে জমি পেয়েছিলেন নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেনের বাবা আশুতোষ সেন। তাঁর বাবা প্রতীচী বাড়িটি নির্মাণ করেছিলেন।
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal