দেবরীনা মণ্ডল সাহা :-নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেনের পক্ষ নিয়েই অবস্থান,নির্দেশ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের ‘উচ্ছেদ’ নোটিশের বিরুদ্ধে এই প্রতিবাদ। শনিবার সকাল থেকে সেই শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ অবস্থানে রয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী থেকে তৃণমূল বিধায়ক এবং নেতা-কর্মীরা। উপস্থিত চিত্র পরিচালক গৌতম ঘোষ, চিত্রশিল্পী শুভাপ্রসন্ন প্রমুখ।এর আগে শান্তিনিকেতনে গিয়ে অর্মত্য সেনের হাতে জমির মাপজোক সংক্রান্ত নথি তুলে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বীরভূমের তৃণমূলকর্মীদের তিনি নির্দেশ দিয়েছেন, অর্মত্য সেনকে উচ্ছেদ করতে এলে, বুলডোজারের সামনে বসে পড়তে হবে! সেই নির্দেশেই শুরু হচ্ছে অবস্থান বিক্ষোভ। আজ অবস্থান মঞ্চে এসে যোগেন চৌধুরী বলেন, যা হচ্ছে তা সবটাই বিজেপির নির্দেশে। আর বিজেপির প্রতিনিধি হিসেবে এসেছেন উপাচার্য বিদ্যুত্ চক্রবর্তী। যোগেন চৌধুরীর পাশাপাশি এসেছেন শিল্পী শুভাপ্রসন্ন ও চিত্র পরিচালক গৌতম ঘোষ। শুভাপ্রসন্ন একটি ছবি এনেছেন। সেখানে এক হনুমান রবীন্দ্রনাথের গায়ে আগুন লাগাচ্ছে।
বিশ্বভারতীর এমনই অবস্থা বলে উল্লেখ করেন শুভাপ্রসন্ন।মুখ্যমন্ত্রী এই অবস্থানে অংশ নেওয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন বিশিষ্টজনদের কাছে। তাঁর পরামর্শ ছিল, বাউলদের সামিল করার। সেই ডাকে সাড়া দিয়ে এসেছেন অনেকেই। শনিবার সন্ধ্যায় মুক্তমঞ্চে রবীন্দ্রসঙ্গীত পরিবেশন করার কথা কবীর সুমনের । গতকাল থেকেই প্রতিবাদ জানাচ্ছে ‘বিশ্বভারতী বাঁচাও কমিটি’। প্রতিবাদ জানিয়ে বিশেষ কর্মসূচি নিয়েছিল ‘সামাজিক মর্যাদা রক্ষা কমিটি’। উল্লেখ্য, প্রতিবাদের হাতিয়ার রবি-শিল্প। মূলত জোর দেওয়া হচ্ছে রবীন্দ্রসঙ্গীতে। প্রসঙ্গত, এর আগে এই জমি বিতর্ককে কেন্দ্র করে নিম্ন আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন নোবেলজয়ী। কিন্তু বিশ্বভারতী জমি খালি করার জন্য সময় বেঁধে দেওয়ায় হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন অমর্ত্য সেন। আবেদনে তিনি জানান, ৬ মের পর বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ তাঁর জমি কেড়ে নিতে পারে। তিনি আবেদনে এও জানান যে, সিউড়ি আদালত তাঁর আবেদনের গুরুত্ব বুঝতে পারেনি। আর এই সময় বেঁধে দেওয়ার পরেই অমর্ত্য সেনের সমর্থনে মুখ খোলেন মুখ্যমন্ত্রী। বৈঠক করে তিনি কলকাতা থেকে বেশ কয়েকজন বুদ্ধিজীবীকে শান্তিনিকেতন যাওয়ার নির্দেশ দেন। সেই সঙ্গে অবস্থান বিক্ষোভে বসার কথাও বলেন। আর সেই কারণেই হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ সত্ত্বেও যে প্রতীচী-র সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ হচ্ছে, একথা মনে করছে রাজনৈতিক মহল।