প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির কাছেই রয়েছে মিলনসঙ্ঘ ক্লাব। আগামী রবিবার থেকে সেখানেই আবারও চালু হচ্ছে ‘জনতার দরবার’| কোভিডকালের আগেই জনতার অভাব অভিযোগের কথা জানাবার জন্য এই পরিষেবা চালু করা হয়েছিল। কিন্তু কোভিডের জেরে সেই পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়। দীর্ঘ ৩ বছর বাদে আবারও সেই পরিষেবা চালু করে দেওয়া হচ্ছে। সেই ‘জনতার দরবার’-এ মুখ্যমন্ত্রী নিজে উপস্থিত না থাকলেও সেখানে থাকবেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতাদের কেউ না কেউ এবং সরকারি প্রশাসনিক আধিকারিকেরা। প্রতি রবিবার রবিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বসবে এই দরবার।
সেখানে বাংলার বাসিন্দা যে কেউ যে কোনও বিষয় নিয়ে তাঁর অভাব – অভিযোগের কথা জানাতে পারবেন।করোনার আগে জনতার দরবার চলত। টানা ৮ বছর ধরে চলেছে ওই দরবার। এবার তার ফের ফেরানো হচ্ছে। নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে বহু চিঠি আসে মানুষের সমস্য়া নিয়ে। ফলে চাপ বাড়ছে সেখানে। মুখ্যমন্ত্রী বাসভবনে য়ে অফিস সেখানে আগে সরাসরি তাদের অভিযোগের কাথা জানানো যেত। করোনার সময় স্বাভাবিক ভাবেই তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ফলে সাধারণ মানুষ বেশ সমস্যা পড়েছেন। কারণ আগে খুব সহজে সমস্যার সমাধান হয়ে যেত। জানা যাচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির কাছে একটি ক্লাবে আপাতত ওই অফিস চালু হবে। নবান্নের কয়েকজন আধিকারিক এর দায়িত্বে থাকবেন। আগে অবস্য আইপিএস অফিসার শঙ্খশুভ্র চক্রবর্তীর নেতৃত্বে ওই অফিস চলত।জনতার দরবারের ফের চালু হওয়া নিয়ে কটাক্ষ করেছেন বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য। একসময় দিল্লির সম্রাটের নির্দেশ দিল্লির ১০ কিলোমিটার বাইরে কার্যকর হতো না। এখন তৃণমূলের সেই অবস্থাই হয়েছে। একজন হাজার হাজার পুলিস নিয়ে বেরিয়ে পড়েছেন রাজ্য দর্শনে। তাতেও ব্যালটবাক্স রক্ষা করতে পারছেন না। সেখানেও চাপ্পা, কারচুপি। অভিষেকের ওই যাত্রায় যে কোনও কাজ হবে না সেই বার্তাই মুখ্যমন্ত্রী দিয়ে দিলেন। অর্থাৎ যা কিছু করতে হবে তা মুখ্যমন্ত্রীর মাধ্যমেই করতে হবে। এই বার্তাই দিয়ে দেওয়া হল। কিন্তু বাস্তব হল এই দল ওই জনতার দরবারকে মানুষ গুরুত্ব দেবে না।