প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ব্যক্তিগতভাবে চেনেন না বলে দাবি কুন্তল ঘোষের। আদালত থেকে নির্দেশ পাওয়ার পর জেলে গিয়ে কুন্তল ঘোষকে জেরা করেছে সিবিআই। সূত্রের খবর, সেই জেরাতেই কুন্তল জানিয়েছেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত কোনও সম্পর্ক নেই। সবাই যেভাবে চেনেন, তিনিও সেভাবেই চিনতেন। সূত্রের দাবি, কুন্তল এ কথাও বলেছেন, ‘শহিদ মিনারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য খবরের কাগজে পড়েছি।’ দাবি করেছেন, ‘চিঠি লেখার জন্য কোনও চাপ দেওয়া হয়নি। নিজে থেকে লিখেছি।”শুক্রবার আলিপুর আদালতে হাজির করানো হয় কুন্তলকে। পুলিশের প্রিজন ভ্যান থেকে কুন্তল নামতেই ঘিরে ধরেন সাংবাদিকরা। চিঠি নিয়ে প্রশ্ন করা হয় তাঁকে। কিন্তু এই নিয়ে একটি কথাও বলেননি কুন্তল। চিঠি লিখতে কি চাপ দেওয়া হয়েছিল কুন্তলকে? এই প্রশ্নের জবাবে মুখ খোলেননি কুন্তল।গত শনিবার নিজাম প্যালেসে কুন্তল ঘোষ প্রসঙ্গে অভিষেকও বলেছিলেন, “আমি কোনওদিন দেখিইনি, চিনিই না… আমার ফোনে কথাও হয়নি।” একইসঙ্গে অভিষেক বলেছিলেন, “২৯ মার্চ শহিদ মিনার ময়দানে যে বক্তব্য রেখেছিলাম, কোথাও কুন্তল ঘোষের নাম নিইনি।
অনেকেই তো গ্রেফতার হয়েছেন। আমি তো কারও নাম নিই। আমি কি একবারও বলেছি কুন্তলকে চাপ দেওয়া হয়েছে? আমি বলেছি, মদন মিত্র ও কুণাল ঘোষের সঙ্গে এই কাজ করা হয়েছে। তাঁরা জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর, হেফাজতে থাকাকালীন তাঁদের অভিজ্ঞতা আমাকে জানিয়েছেন। সেই ভিত্তিতে আমি বলেছি।”তবে কুন্তলের সাম্প্রতিক বয়ান সামনে আসতেই জোর চর্চা বিভিন্ন মহলে। কারণ, কুন্তলের এজেন্সির বিরুদ্ধে চাপ দিয়ে নাম বলানোর চেষ্টার অভিযোগকে সামনে রেখেই প্রথমবার নিয়োগ মামলায় অভিষেকের প্রসঙ্গ উত্থাপিত হয়। আদালত ও হেস্টিংস থানায় কুন্তলের অভিযোগপত্রকে সামনে রেখেই কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দিয়েছিলেন। সিবিআই সেইমতো অভিষেককে তলবও করে। ৯ ঘণ্টা ৪০ মিনিট নিজাম প্যালেসে সিবিআইয়ের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় ডায়মন্ড হারবারের সাংসদকে। এই চিঠি সংক্রান্ত মামলায় সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। শুক্রবার এই মামলায় হস্তক্ষেপ করতে চায়নি শীর্ষ আদালত। অর্থাৎ, কুন্তলের চিঠি মামলায় অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এই আবহে ওই চিঠি নিয়ে কুন্তলের নীরবতা নতুন মাত্রা যোগ করেছে।