দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- দল বদলের জেরে বাইরন বিশ্বাসের বিধায়ক পদ বাতিলের দাবিতে বিধানসভার অধ্যক্ষকে চিঠি। চিঠি পাঠানো হয়েছে নির্বাচন কমিশনেও। তারপরেও সাগরদিঘির বিধায়কের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ না করে হলে মামলা করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী সৌমশুভ্র রায়। তিনিই বাইরন বিশ্বাসের বিধায়ক পদ খারিজের আর্জি জানিয়েছেন।কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী সৌমশুভ্র রায় কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন এবং বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে চিঠি দিয়েছেন আইনজীবী। তাঁর দাবি, কংগ্রেসের টিকিটে জিতে তৃণমূলে যোগ দেওয়া বাইরন বিশ্বাসের বিধায়ক পদ খারিজ করা হোক। এই আবেদনে সাড়া না পেলে মামলা করা ছাড়া উপায় নেই বলেও চিঠিতে উল্লেখ করেছেন আইনজীবী।সাগরদিঘির উপনির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে ২২ হাজার ভোটে হারিয়েছিলেন বাম-কংগ্রেসের জোট প্রার্থী বাইরন বিশ্বাস। তিনি ছিলেন বিধানসভায় কংগ্রেসের একমাত্র মুখ।রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ‘সাগরদিঘি’কে মডেল করে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে শাসকের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ঘুঁটি সাজাচ্ছিল বাম-কংগ্রেস জোট। কিন্তু তার আগেই বদলে গেল সমীকরণ। গত সোমবার ঘাটালে তৃণমূলের নবজোয়ারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত থেকে ঘাসফুল পতাকা নেন বাইরন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, তাতে বাম-কংগ্রেস জোট যত না ধাক্কা খেয়েছে, তার থেকে বেশি ধাক্কা খেয়েছেন সংখ্যালঘুরা। যাঁরা তাঁকে প্রতিনিধি করে পাঠিয়েছিলেন। একই দাবি করেছেন ফুরফুরা শরিফের পীরজাদারাও।কংগ্রেসের টিকিটে উপনির্বাচনের জেতার ৩ মাসের মধ্যে তৃণমূলে যোগ দেন বাইরন। তারপর থেকেই সাগরদিঘির বিধায়কের পদত্যাগের দাবি তুলে জেলাজুড়ে আন্দোলনে শামিল হয়েছে বাম-কংগ্রেস। যদিও বিরোধীদের এই দাবিকে নস্যাৎ করেছেন বাইরন বিশ্বাস । তিনি জানান, “আমার দলত্যাগের জন্য দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকরী হয় না। ফলে পদত্যাগের প্রশ্ন ওঠে না। যদি নিয়ম অনুযায়ী দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকরী হত, আমি পদত্যাগ করে পুনরায় নির্বাচনে দাঁড়াতাম।” এর মধ্যেই তাঁর বিধায়ক পদ খারিজের দাবিতে চিঠি দিলেন এক আইনজীবী।