প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- প্রাথমিক শিক্ষক পদে প্রশিক্ষণের ডিএলএড কোর্সেও আইনি ধাক্কা। কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট জানিয়ে দিল, আগামী ৯ জুন পর্যন্ত ডিএলএডে ভরতি হওয়া যাবে না। ৬ জুন সিঙ্গল বেঞ্চে শুনানি যেমন আছে, তেমনই হবে বলে জানানো হয়েছে। স্থগিতাদেশের মেয়াদ বৃদ্ধিতে অনিশ্চিত অন্তত ৩০ হাজার পড়ুয়ার ভবিষ্যৎ। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের ডিএলএডের ভর্তি সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে গ্রীষ্ম অবকাশকালীন ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন যে, বিভিন্ন জায়গায় গজিয়ে ওঠা ডিএলএড শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে তাদের প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদের বিস্তারিত নথি ছবিসহ ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে।
পাশাপাশি ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যে সমস্ত ছাত্রছাত্রীরা নাম সরকারি বিভাগে নথিভুক্ত করা হয়নি অবিলম্বে তাদের নাম নথিভুক্ত করতে হবে।যাতে তাদের পরবর্তীকালে নিয়োগের ক্ষেত্রে নথিভুক্ত ছাত্র ছাত্রী হিসেবে তারা গণ্য হন। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়কে উল্লেখ করে ৩০ মে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সেই বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মামলা দায়েরের অনুমতি চেয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ বিচারপতির তীর্থঙ্কর ঘোষের ডিভিশন বেঞ্চে। অনুমতি ডিভিশন বেঞ্চের।উল্লেখ্য, এর আগে শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতির মাঝে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের জন্য বাধ্যতামূলক ডিএলএড ডিগ্রি অর্জনের পরীক্ষাতেও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। টাকা দিলে পাশ করানো হবে এরকম একটি মেসেজ সামনে আসে। টাকা না দেওয়ায় সেখানে পরীক্ষার্থীদের ফেল করানো হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে।ডিপ্লোমা ইন এলিমেন্টারি এডুকেশন(ডিএলএড) প্র্যাক্টিক্যাল পরীক্ষাই টাকা নিয়ে পাশ করানো সংক্রান্ত বিষয়ে আদালতে মামলা হয়েছে। কলেজের সচিব নিজে মামলা করেছেন।