দেবরীনা মণ্ডল সাহা,কলকাতা :- দুর্ঘটনার পর তিনদিন কেটে গিয়েছে। ওড়িশার বিভিন্ন শহরের হাসপাতালগুলিতে চিকিৎসা চলছে আহতদের । তার মধ্যে রয়েছেন বাংলার অনেক বাসিন্দাও। সেই আহত যাত্রীদের দেখতে ফের ওড়িশা যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবারই এ কথা ঘোষণা করেছেন তিনি। অন্যদিকে সোমবার বালেশ্বর দুর্ঘটনায় মৃত চারজনের দেহ এল কলকাতায়। তাঁদের শেষ শ্রদ্ধা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং পুলিশ কমিশনার। দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে শেষ শ্রদ্ধা জানান মুখ্যমন্ত্রী। আজ দ্বিতীয় হুগলি সেতুর টোল প্লাজায় পৌঁছয় দুর্ঘটনায় নিহত দেহগুলি। সেখানেই শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় নিহত যে চারজনের দেহ সোমবার এসেছে তাঁরা সকলেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসিন্দা। আগেই নবান্ন থেকে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে ছিলেন, বাংলায় মৃতের সংখ্যা ৬২।
সেটা আরও বাড়তে পারে। আজ নিহতদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে পাশে থাকার আশ্বাস দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।অন্যদিকে আবার ভুবনেশ্বর এবং কটক যেতে পারেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বলে সূত্রের খবর। যদিও এই বিষয়ে সরকারি তরফে কিছু জানানো হয়নি। আজ যে চারজনের মৃতদেহ কলকাতায় এসেছে, তাঁরা হলেন— কুলপির অনিমেষ মণ্ডল, সাগরের স্বপ্না প্রামাণিক, বিষ্ণুপুরের বিশ্বনাথ চক্রবর্তী এবং বারুইপুরের সৌরভ রায়। তাঁদের আত্মীয়দের সঙ্গেও কথা বলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী বুধবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে মুখ্যমন্ত্রী মৃত ও আহতদের পরিবারের হাতে তুলে দেবেন আর্থিক সাহায্যের চেক।এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, দুর্ঘটনায় মৃতদের পরিবার পিছু দেওয়া হবে ৫ লক্ষ টাকা। পরিবার পিছু একজন পাবেন হোমগার্ডের চাকরি। গুরুতর আহতরা পাবেন ১ লক্ষ টাকা। তার থেকে কম আহতরা যথাক্রমে পাবেন ৫০ ও ২৫ হাজার টাকা। দুর্ঘটনায় যারা আহত হননি কিন্তু আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হবে ১০ হাজার টাকার চেক। এখানেই শেষ নয়, তাঁদের ৪ মাস ২ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। সঙ্গে পাবেন মাসের প্রয়োজনীয় সমস্ত জিনিস। দুর্ঘটনায় যাদের অঙ্গহানি হয়েছে, তাঁদের পরিবার পিছু একজনকে হোমগার্ডের চাকরি দেওয়া হবে।