প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- ব্যবসায়ী রাজু ঝা খুনের ঘটনায় কয়লা পাচারের সঙ্গে যোগ রয়েছে। তেমনটাই পর্যবেক্ষণ করে এই খুনের তদন্ত সিবিআই-এর হাতে তুলে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা তাঁর পর্যবেক্ষণে বলেন, ঘটনার দিন রাজুর ঝা-র সঙ্গে একই গাড়িতে ছিলেন আবদুল লতিফ। তাঁর নাম সিবিআইয়ের দেওয়া চার্জশিটে রয়েছে। বিচারপতি মান্থা মনে করছেন, এই খুনের সঙ্গে কয়লাপাচার মামলার যোগ রয়েছে। তাই তিনি সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।বুধবার বিচারপতি রাজা শেখর মান্থা এই নির্দেশ দিয়েছেন। উল্লেখ্য, চার্জশিটে নাম রয়েছে আব্দুল লতিফের। খুনের দিন ওই গাড়িতেই ছিলেন বিজেপি নেতা রাজু।
প্রসঙ্গত, গত ১ এপ্রিল সন্ধ্যায় শক্তিগড়ে সাদা একটি গাড়িতে ছিলেন রাজু। পাশেই চালক। হঠাৎ করে একটি নীল রঙের গাড়ি থেকে বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতী নেমে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে পরপর গুলি করে রাজুকে। গড়িতেই এলিয়ে পড়েন রাজু। ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ এসে রাজুকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেছিলেন।বিচারপতি মান্থা নির্দেশ দিয়েছেন অবিলম্বে পুলিশ কেস ডায়েরি ও তদন্তে পাওয়া অন্যান্য নথি সিবিআই-এর হাতে তুলে দেবে। তা নিয়েই তদন্ত শুরু করবে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। বিচারপতি মতে এই মামলা যদি সিবিআইয়ের হাতে না যায় তবে কয়লাপাচার মামলাও ধাক্কা খাবে। কয়লাপাচার মামলায় রাজু ঘনিষ্ট ব্যবসায়ী নরেন্দ্র খারকারের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে সিবিআই। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টও সিজ করা হয়েছে। কয়লাপাচার মামলায় অন্যতম সাক্ষী রাজু ও নরেন্দ্র। তাঁর আইনজীবী আদালতে এই প্রসঙ্গ তুলে বলেন, ‘এফআইআর-এ নাম না থাকা সত্ত্বেও কেন তাঁকে হায়রানি করা হচ্ছে।’এদিন আদালতে হাজির ছিলেন রাজুর স্ত্রী। তিনি বলেন, ‘গত ১ এপ্রিল খুন হন রাজু ঝা। অথচ সিবিআই তাঁকে কয়লা পাচার মামলায় এপ্রিলের শেষে সমন পাঠিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকেছে।’ তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, গরু ও কয়লাপাচার মামলার ভিড়ে এই খুনের তদন্ত হারিয়ে যাবে।