দেবরীনা মণ্ডল সাহা,কলকাতা :- একদিকে যখন শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত সকল রাজনীতি দল অন্যদিকে সেই সময়ই নিজের মন্ত্রী পদ হারালেন মানস ভুঁইঞা । পরিবেশ দপ্তরের দায়িত্ব থেকে সরানো হল বর্ষীয়ান বিধায়ককে।
পরিবেশ দফতরের দায়িত্ব মানসের হাত থেকে নিজের হাতে নিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় | একই সাথে পরিবেশ দপ্তর ও জলসম্পদ উন্নয়ন দপ্তরের মন্ত্রিত্ব ছিল মানস ভুঁইঞার হাতে। তবে এদিন পরিবেশ দপ্তরের দায়িত্ব থেকে সরানোয় তার হাতে পড়ে রইল কেবল জলসম্পদ উন্নয়ন দপ্তরের দায়িত্ব।এর জেরে মুখ্যমন্ত্রীর হাতে এখন মোট ৯টি দফতর থাকছে। মুখ্যমন্ত্রীর হাতে থাকছে স্বরাষ্ট্র ও পাহাড়, তথ্য ও সংস্কৃতি, ভূমি ও ভূমি রাজস্ব, ত্রাণ ও পুনর্গঠন, সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও মাদ্রাসা বিষয় দফতর, কর্মীবর্গ ও প্রশাসন, পরিকল্পনা ও পরিসংখ্যান, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ এবং পরিবেশ দফতর। কিন্তু ঠিক কী কারণে মান ভুঁইয়ার হাত থেকে পরিবেশ দফতর মুখ্যমন্ত্রী নিজের হাতে তুলে নিলে সেই বিষয়ে সরকারিভাবে কিছু জানা যায়নি। এর আগেও পরিস্থিতি বুঝে একাধিকবার রাজ্য মন্ত্রিসভায় রদবদল করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। কখনও কখনও নিজের কাঁধেই তুলে নিয়েছে অন্যান্য দপ্তরের দায়িত্ব। সংগঠনের কাজে জোর দিতে এভাবেই তিনি মন্ত্রিত্বের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন অনেককে। তবে মানসবাবুর ক্ষেত্রে একটি ভিন্ন কথাও শোনা যাচ্ছে। আর তা হল রাজ্যসভায় ফের তাঁকে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া। চলতি বছরের অগাস্ট মাসে বাংলা থেকে ৬টি রাজ্যসভার সদস্যের আসন ফাঁকা হচ্ছে। এই আসনগুলিতে এখন আছেন দোলা সেন, ডেরেক ও ব্রায়েন, শান্তা ছেত্রী, সুখেন্দু শেখর রায়, সুস্মিতা দেব ও প্রদীপ ভট্টাচার্য। এদের মধ্যে প্রদীপবাবু কংগ্রেসের সাংসদ। বাকি সকলেই তৃণমূলের। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, শান্তা ছেত্রীর আসনেই মানস ভুঁইয়াকে রাজ্যসভায় পাঠানো হতে পারে। পরিবর্তে শান্তাকে প্রার্থী করা হতে পারে দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্র থেকে। এখন রাজ্য বিধানসভায় যা দলীয় অবস্থা তাতে ৫টি আসনে তৃণমূলের জয় নিশ্চিত। একটি আসনে জিততে পারে বিজেপির প্রার্থী। তবে রাজ্য সভায় বাংলার আরও একটি আসন এখন ফাঁকা আছে। সেই আসনে কবে ভোট হবে তা এখনও জানা যায়নি।