Breaking News

বাংলার ৭ লক্ষ আবাস উপভোক্তার আধার যাচাই আটকে দিয়েছে কেন্দ্র!কেন্দ্রকে চিঠি রাজ্যের

প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- পঞ্চায়েত নির্বাচনের দামামা বেজে গিয়েছে। তার মধ্যেই আবাস যোজনা নিয়ে নয়া সঙ্কট | এই প্রকল্পে রাজ্যের সাত লক্ষের বেশি উপভোক্তার পিএফএমএস পোর্টালের মাধ্যমে আধার যাচাইয়ের কাজ কেন্দ্র কার্যত আটকে রেখেছে বলে অভিযোগ। অথচ এই যাচাই প্রক্রিয়াকে সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার জন্য চূড়ান্ত অনুমোদন বলে ধরা হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। ফলে নথিভুক্ত উপভোক্তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে বাড়ি তৈরির টাকা ঢুকবে না বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। রাজ্য সরকারের দাবি, আধার যাচাই নিয়ে এত টালবাহানার কোনও কারণ জানাচ্ছে না কেন্দ্র। আগামী ১ জুলাই থেকে নয়া নিয়ম চালু করছে কেন্দ্র। ঠিক হয়েছে, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে আধার সংযোগের পর আরও একবার করে তা যাচাই হবে অর্থমন্ত্রকের পিএফএমএস পোর্টালের মাধ্যমে। এই কাজ সম্পূর্ণ হলে ‘আধার ব্রিজ পেমেন্ট’-এর মাধ্যমে টাকা পাঠানো হবে উপভোক্তাদের অ্যাকাউন্টে। কেন্দ্রের দাবি, এই যাচাই পদ্ধতি সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয়। তবে সেই যুক্তি মানতে নারাজ নবান্ন। বিভিন্ন সূত্র থেকে তারা জানতে পেরেছে, একমাত্র বাংলার ক্ষেত্রেই এত সংখ্যক উপভোক্তার আধার যাচাই বাকি। সর্বাধিক পিএফএমএস যাচাই হয়েছে গুজরাতের উপভোক্তাদের। এই তথ্য আরও একবার বাংলার প্রতি কেন্দ্রের বঞ্চনার তত্ত্ব সামনে আনল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

আবাস প্লাস প্রকল্পে তালিকাভুক্ত উপভোক্তার সংখ্যা ১১ লক্ষ ১ হাজার ৯৫৫। এঁদের প্রাপ্য মোট ৮ হাজার কোটি টাকা এখনও দেয়নি কেন্দ্র। আগে থেকে চলা আবাস সফ্ট প্রকল্পের ৬৩ হাজার ৮৩৫ জন উপভোক্তার এক-দুই কিস্তির টাকা এখনও বাকি। এঁদের মধ্যে সব মিলিয়ে মাত্র ৩.১৬ লক্ষের ক্ষেত্রে পিএফএমএস যাচাই সম্পূর্ণ করেছে কেন্দ্র। কিন্তু নয়া নিয়মের গেরোয় বেশিরভাগই তা পাবেন না বলে আশঙ্কা। আর ১ জুলাইয়ের পর আবাস প্লাসের টাকা কেন্দ্র ছাড়লেও যাচাই বাকি থাকলে তাও কেউ পাবে না। এই সমস্যা এড়াতে রাজ্যের তরফে গত ১২ জুন অর্থমন্ত্রকের সংশ্লিষ্ট বিভাগে চিঠি দিয়ে আধার যাচাইয়ে অগ্রাধিকার দেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে। রাজ্যের দাবি, ওই পোর্টালে আধার যাচাই ব্যর্থ হলে তার কোনও কারণ জানাচ্ছে না কেন্দ্র। ফলে ভুলত্রুটি সংশোধন সম্ভব হচ্ছে না। সব মিলিয়ে উপভোক্তাদের টাকা পাওয়া নিয়ে সংশয় বাড়ছে।
Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *