দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :-পঞ্চায়েত ভোটের পর এবার তৃণমূল কংগ্রেসের লক্ষ্য ২০২৪ সাল। লোকসভা ভোটের যখন কয়েক মাস বাকি, তখন এই বৃহত্তর রাজনৈতিক সমাবেশ হতে চলেছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই চলতি বছরের ২১ জুলাই থেকে রাজনৈতিক ভাবে জাতীয় রাজনীতির প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে সুর চড়াবে তৃণমূল কংগ্রেস। সোম ও মঙ্গলবার কর্নাটকের রাজধানী বেঙ্গালুরুতে অবিজেপি দলগুলির দ্বিতীয় বৈঠক। গত জুনে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের পটনার বাসভবনে বৈঠকে বসেছিলেন ১৫টি রাজনৈতিক দলের নেতানেত্রীরা। বেঙ্গালুরুর বৈঠকে যোগ দিতে সোমবারই সেখানে পৌঁছে গিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে গিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দু’দিনের এই বৈঠকের পর ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে বাংলায় কংগ্রেস-সিপিএমের উদ্দেশে মমতা কী বলেন সেদিকে নজর থাকবে সকলের |
২১ জুলাইয়ের সভার ছয় মাসের মধ্যেই রাজ্যে লোকসভা নির্বাচনের দামামা বেজে যাবে। নির্বাচনের পূর্বে তাই দলের সর্ববৃহৎ জনসমাবেশকে লোকসভার প্রচার বার্তার মঞ্চ হিসাবে ব্যবহার করতে চাইছে শাসক দল।তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশ পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারে ব্যস্ত থাকলেও ২১শে জুলাইয়ের সভার প্রস্তুতি কয়েকদিন আগে থেকেই শুরু করে দেওয়া হয়েছে। দলের শীর্ষ নেতাদের একাংশ বিষয়টি নিয়ে বৈঠক করেছেন বলেও খবর। তবে ২১-এর মঞ্চে শুধুমাত্র পঞ্চায়েত নির্বাচনের সাফল্য গাঁথা তুলে না ধরে আগামী লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি মঞ্চ হিসেবেই ব্যবহার করতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস।পঞ্চায়েত ভোটে বিপুল জয়ের পর এই প্রথম বড় কর্মসূচি।শাসকদলের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে একটা উৎসবের মেজাজ রয়েছে। যদিও তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব স্পষ্ট করে দিয়েছেন, কোনও ভাবেই ২১ জুলাইয়ের সমাবেশকে বিজয় সমাবেশে পরিণত করা যাবে না। শহিদ স্মরণের যথার্থতা যাতে নষ্ট না হয়, সে ব্যাপারেও জেলা ও ব্লকের নেতাদের সতর্ক করেছে তৃণমূল।