দেবরীনা মণ্ডল সাহা,কলকাতা :- গুরুতর অসুস্থ রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যার জেরে শনিবার রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।অসুস্থ বুদ্ধবাবুকে দেখতে হাসপাতালে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।শনিবার দুপুরে হঠাৎ করেই তাঁর শ্বাসকষ্ট জনিত শারীরিক সমস্যা বেড়েছে বলে জানা যাচ্ছে। তড়িঘড়ি তাঁকে কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার তোড়জোড় শুরু হয়ে যায়। বুদ্ধবাবুর শারীরিক অবস্থার খবর পেতেই ওই বেসরকারি হাসপাতাল থেকে অ্যাম্বুলেন্স পাঠানো হয় প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর পাম এভিনিউয়ের বাড়িতে। মেডিক্যাল অফিসার ও স্বাস্থ্যকর্মীরা অ্যাম্বুলেন্সে করে পাম এভিনেউয়ের বাড়ি থেকে তাঁকে নিয়ে আসেন হাসপাতালে।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, আইসিইউ-তে ভর্তি করার সময় প্রথম তাঁর রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা ৭০-এর নেমে গেলেও, প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁর অক্সিজেনের মাত্রা ৯০ পর্যন্ত গিয়েছে। এদিকে তাঁর রক্তচাপ ঠিক রয়েছে। চোখ খুলেছেন। ফলে আগের থেকে অনেকটা স্থিতিশীল। তাঁর রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা বৃদ্ধি করতে ইতিমধ্যেই সি-প্যাপ সাপোর্ট দেওয়া হয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে। মেডিক্যাল টিমে রয়েছেন, পালমোনোলজিস্ট, ক্রিটিক্যাল কেয়ার বিশেষজ্ঞ। এছাড়াও রয়েছেন, মেডিসিনের চিকিৎসকেরা। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে দেখতে হাসপাতালে চলে যান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস । শনিবার সংস্কৃত কলেজে একটি অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল। সেখানেই তিনি বুদ্ধদেবের অসুস্থতার খবর পান। তারপরেই সিদ্ধান্ত নেন, তিনি আলিপুরের হাসপাতালে যান তিনি।দক্ষিণ কলকাতার বেসরকারি হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস বলেন, ‘বুদ্ধদেবজি’কে দেখতে এসেছিলাম। দক্ষ চিকিৎসকরা তাঁর চিকিৎসা করছেন। উনি সেরা চিকিৎসা পাবেন। উনি যাতে দ্রুত সেরে ওঠেন, সেই আশা করছি। দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি তাঁর।’
বুদ্ধদেবের চিকিৎসা করেন তাঁর পারিবারিক চিকিৎসক কৌশিক চট্টোপাধ্যায়। তিনিও রয়েছেন বেসরকারি হাসপাতাল গঠিত মেডিক্যাল বোর্ডে। প্রাথমিক ভাবে তাঁর রক্তচাপ স্বাভাবিক বলেই হাসপাতালের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে। রক্তে অক্সিজেনের মাত্রাও সামান্য বেড়েছে বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, দিনকয়েক ধরেই স্বাস্থ্য ভালো ছিল না প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের। আজ দুপুরে প্রবল শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। অক্সিজেনের স্যাচুরেশন ৭০-তে নেমে যায়। যা ৯০-র নীচে নেমেই বিপজ্জনক বলে মনে করা হয়। সেই পরিস্থিতিতে তাঁকে তড়িঘড়ি হাসপাতালে ভরতি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। যদিও প্রাথমিকভাবে রাজি ছিলেন না প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু কোনও ঝুঁকি নিতে চাননি চিকিৎসকরা।
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal