Breaking News

লোকসভা ভোটের আগেই দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন?বিধানসভায় তেমনই ইঙ্গিত দিলেন ফিরহাদ হাকিম,দিনক্ষণের জন্য পঞ্জিকা দেখছে সরকার

দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :-পুরীর জগন্নাথ ধামের আদলে দিঘায় তৈরি হচ্ছে জগন্নাথ মন্দির | জোরকদমে কাজ চলছে সেখানে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও কিছুদিন আগে দিঘার জগন্নাথ মন্দির তৈরির কাজ দেখে এসেছেন। যত দ্রুত সম্ভব দিঘার জগন্নাথ মন্দির ভক্তদের জন্য খুলে দিতে চাইছে রাজ্য সরকার। বৃহস্পতিবার বিধানসভার অধিবেশন চলাকালীন প্রশ্নোত্তর পর্বে রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানালেন, আগামী বছরেই উদ্বোধন হতে চলেছে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের।শুভ দিনক্ষণ ইতিমধ্যেই খোঁজা শুরু করেছে বলে খবর। ফিরহাদ হাকিম জানান, আগামী বছরই বাংলায় তৈরি হওয়া জগন্নাথ মন্দিরটির উদ্বোধন হবে। তা করবেন মুখ্যমন্ত্রী।এদিন ফিরহাদ হাকিম আরও জানান, দিঘায় জগন্নাথ মন্দির নির্মাণের জন্য রাজ্য সরকার মোট ১৪৩ কোটি টাকা খরচ করছে। এর জন্য সাধারণের থেকে কোনও অর্থসাহায্য বা অনুদান নেওয়া হয়নি। দিঘায় এই মন্দির নির্মাণের কাজ দেখতে গিয়ে এই বরাদ্দের কথা জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কাজ শেষ হলেই মন্দির উদ্বোধন করবেন বলেও জানান তিনি। আগামী বছরের গোড়াতেই তা উদ্বোধন হবে বলে মনে করা হচ্ছে।লোকসভা ভোটের আগে অযোধ্যায় রাম মন্দিরের দরজা খুলে যাবে। ১৫ জানুয়ারি অর্থাৎ পৌষ সংক্রান্তির পর দিন আনুষ্ঠানিক ভাবে পুজো হবে রাম লালার। সেই পুজোয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যে আসন পেতে পুরোহিতদের সঙ্গে বসবেন তা নিয়েও সন্দেহ নেই।অযোধ্যায় সেই পুজো পর্বের সঙ্গে তাল রেখে বাংলাতেও এবার জগন্নাথ মন্দিরের শুভ উদ্বোধন সেরে ফেলার তোড়জোড় চলছে। দিঘার সমুদ্র সৈকতে রাজ্য সরকার পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের আদলে মন্দির নির্মাণ করছে। কিছুদিন আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কাজের অগ্রগতি দেখে এসেছেন।একাধিকবার পুরীর জগন্নাথ মন্দির দর্শনে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানকার দ্বৈতাপতির সঙ্গে তাঁর সুসম্পর্ক রয়েছে। এমনকী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির পুজোয় যজ্ঞ করার জন্য এসেছিলেন দ্বৈতাপতি। দিঘার জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধন নিয়ে তাঁর সঙ্গে আলোচনা চলছে বলে জানা গিয়েছে। দিনক্ষণ স্থির হলে আগামী বছরের গোড়াতেই তার উদ্বোধন হবে। পুরীর জগন্নাথ ধামের সঙ্গে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরর বাহ্যিক গঠন হুবহু একই রকমের করা হচ্ছে। দু’টি মন্দিরেরই উচ্চতা হবে সমান। পুরীর মতো এখানেও থাকছে ভোগ ঘর, বসার ঘর। রথ রাখার জায়গাও করা হচ্ছে একইরকমভাবে। মন্দির নির্মাণের জন্য বাইরে থেকে পাথরও নিয়ে আসা হয়েছে। পুরীর মন্দিরের সঙ্গে দিঘার মন্দিরের ফারাক বলতে গেলে, পুরীতে মূর্তিগুলি নিম কাঠের, আর দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের মূর্তিগুলি হবে মার্বেল পাথরের।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *