প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- সাতসকালেই নোয়াপাড়াতে চলল গুলি। বৃহস্পতিবার নোয়াপাড়া থানা এলাকার মায়াপল্লিতে গুলিবিদ্ধ ইমারত দ্রব্য ব্যবসায়ী। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গুলিবিদ্ধ ওই ব্যবসায়ীর নাম রবীন দাস ওরফে ডন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকালে তিন দুস্কৃতী রবীনকে লক্ষ্য করে পরপর তিন রাউন্ড গুলি চালায়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে কলকাতার একটি বেসকারি নার্সিং হোমে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ। তবে কী কারণে ওই ব্যবসায়ীকে গুলি করা হল, পাশাপাশি কে বা কারা এই ঘটনা সঙ্গে জড়িত, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে পুজোর ফুল কিনতে এসেছিলেন রবীন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, রবীন দোকানের সামনে এসে বাইক দাঁড় করান। তিন জন দুষ্কৃতী বাইকে তাঁকে ঘিরে ধরে। তাঁদের মধ্যে কিছু কথা হয়। কিছু বুঝে ওঠার আগেই পকেট থেকে বন্দুক বার করে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি চালায়। আকস্মিক গুলির আওয়াজে বাজারের সবাই প্রথমটায় চমকে যায়। আকস্মিকতার ঘোর কাটিয়ে উঠতেই তাঁরা দেখেন রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে রয়েছেন সুবীর। দুষ্কৃতীরা ততক্ষণে বাইক নিয়ে ধাওয়া দিয়েছে।এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, তিন দুষ্কৃতী পরপর তিন রাউন্ড গুলি চালিয়েছে ওই ব্যবসায়ীকে লক্ষ করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। প্রত্যক্ষদর্শী ও বাজারের অন্যান্য ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলেন পুলিশ আধিকারিকরা। তদন্তে ঘটনাস্থলে যান পুলিশ কমিশনার অলোক রাজোরিয়া।জানা গিয়েছে, রবীনের ইমারতি দ্রব্যের ব্যবসা রয়েছে। ব্যবসায়ীক শত্রুতার জেরেই গুলি কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি রবীন
তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী বলে দাবি করেছেন উত্তর ব্যারাকপুর পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রদীপ বসু। পঞ্চায়েত ভোটে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন। সেক্ষেত্রে এর পিছনে রাজনৈতিক কোনও কারণ রয়েছে কিনা, তাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।