দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :-
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে হুমকি চিঠি পাঠানোর অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। সেই ‘অধ্যাপক’ রানা রায়কে গ্রেফতার করল পুলিশ। অন্য একটি মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রবিবার রাতে ভুবনেশ্বরের একটি হোটেল থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ।লালবাজার সূত্রে খবর, অভিযুক্ত প্রফেসর রানা রায় বহু মহিলাকে এর আগে প্রতারণা করেছেন। উত্যক্ত করেছেন। অশ্লীল ভাষায় হুমকি চিঠি দিয়েছেন। হুমকি পোস্ট কার্ডের ঘটনায় যেমন যাদবপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু, তেমনই বেলগাছিয়ার বাসিন্দা এক মহিলা রানা রায়ের বিরুদ্ধে তাঁকে স্টক করার অভিযোগ করেছেন। তাঁর অভিযোগ, ২০১৯ সাল থেকে লাগাতার তাঁকে উত্যক্ত করে চলেছেন অভিযুক্ত। এমনকি তাঁর শ্লীলতাহানিও করেছেন। টালা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। তাঁর সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে পুলিশ |তারপরই তাঁকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারির পর ধৃতকে টালা থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। আজ তাঁকে আদালতে পেশ করা হবে। ওদিকে তাঁর বিরুদ্ধে যাদবপুর থানায় দায়ের হওয়ার অভিযোগের ভিত্তিতেও তদন্ত চলছে। এছাড়া তাঁর বিরুদ্ধে ভেন্ডার ও গরিব মানুষদের প্রতারণা করার অভিযোগও রয়েছে। তিনি নিজেকে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের গ্রুপ-এ অফিসার বলে দাবি করেন। বর্তমানে কয়েক বছর ধরে বেলগাছিয়ায় থাকলেও তিনি আসলে কোচবিহারের বাসিন্দা। রানার কুকীর্তির এখানেই শেষ নয়। এলাকার দোকানদার এবং বাজার ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে টাকাও ধার করেছিলেন। সেই টাকা ফেরত দেননি। টাকার সব মিলিয়ে প্রায় ৬২ হাজার। তার বিরুদ্ধে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসুকেে হুমকি চিঠি পাঠানোর অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনায় শনিবারই মামলা রুজু করেছিল পুলিশ। যাদবপুর থানায় ভারতীয় দণ্ডবিধির ৫০৬, ৫০৯ এবং ৩৪ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছিল অভিযুক্ত ‘অধ্যাপক’ রানার বিরুদ্ধে।