প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- দেড়শো টাকা থেকে বেড়ে এক লাফে প্রাথমিক টেটের ফর্মের দাম হয়েছে ৫০০ টাকা। আর তাতেই রাজ্য সরকারকে তুমুল আক্রমণ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর দাবি, টেট আয়োজন আসলে সরকারের টাকা রোজগারের ফন্দি। এমনকী হিসাব করে দেখিয়ে দিয়েছেন, আসন্ন টেট আয়োজন করে সরকারের প্রায় ২৫ কোটি টাকা লাভ হতে চলেছে। সঙ্গে শুভেন্দুর কটাক্ষ, চাকরি তো হবে না।চলতি বছরের টেট নিয়ে বিস্ফোরক রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে শুভেন্দু লেখেন, “মনে হচ্ছে টেটের নামে টাকা তোলার দারুণ ফন্দি খুঁজে পেয়েছে রাজ্য সরকার। অথচ কাউকেই নিয়োগ করা হবে না।” একটা হিসাব দেখিয়ে শুভেন্দু দাবি করেছেন, পরীক্ষার ফি বাবদ গড়ে ৪০০ টাকা করে নেবে রাজ্য সরকার। কমবেশি ৭ লক্ষ পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে ২৮ কোটি টাকা তোলা হতে পারে। পরীক্ষা নিতে সবমিলিয়ে খরচ হবে তিন কোটি। রাজ্যের তাহলে লাভ থাকছে ২৫ কোটি। শুভেন্দুর অভিযোগ, পরীক্ষা নেওয়ার নাম করে আসলে টাকা রোজগার করবে রাজ্য।গত বুধবার ২০২৩ প্রাথমিক টেটের দিনক্ষণ ঘোষণা করেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল। জানান, ১০ ডিসেম্বর আয়োজন করা হবে পরীক্ষার। বৃহস্পতিবার থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে ফর্ম পূরণ। তবে এবার সাধারণের জন্য ফর্মের দাম ৫০০ টাকা। গত বছর টেটের ফর্মের দাম ছিল ১৫০ টাকা। এক লাফে টেটের ফর্মের দাম কেন তিন গুনেরও বেশি বাড়ল তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছিল জনমানসে। শনিবার এক্স হ্যান্ডেলে নিজের ব্যাখ্যা দিলেন শুভেন্দু অধিকারী | শুভেন্দুবাবু লিখেছেন, ‘বছর বছর পরীক্ষা হবে কিন্তু কাউকে নিয়োগ না করবে না। প্রাথমিক টেট আয়োজন করে টাকা রোজগারের একটা সহজ পথ বার করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি গৌতম পাল ১৩ সেপ্টেম্বর বলেছেন, প্রতি বছর নিয়োগ না হলেও টেট হবে। এবার দেখি কেন এই সিদ্ধান্ত। গত বছর যখন দুর্নীতির বন্যায় ভাসছে রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া তখন ৫ বছর পর ২০২২এর ডিসেম্বরে টেট নেওয়া হয়েছিল। প্রায় ৭ লক্ষ চাকরিপ্রার্থী পরীক্ষা দিয়েছিলেন। তাদের মধ্যে ১ লক্ষ প্রার্থী যোগ্য বলে বিবেচিত হয়েছেন। তাদের কাউকে এখনো নিয়োগ দেওয়া হয়নি’।