Breaking News

ইন্ডিয়া জোটের সমন্বয় কমিটিতে নেই সিপিএম, দিল্লি যাওয়ার আগে এ নিয়ে কি বললেন অভিষেক বন্দোপাধ্যায়?

প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :-সোমবার থেকে শুরু হয়েছে সংসদের বিশেষ অধিবেশন । চলবে ২২ তারিখ পর্যন্ত। এই অধিবেশন শুরুর আগে সংসদ চত্বরে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী নিজেই জানিয়েছেন, বিশেষ অধিবেশন ছোট হলেও গুরুত্বপূর্ণ। কারণ একাধিক ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে এই বিশেষ অধিবেশনে। আর সেই ঐতিহাসিক অধিবেশনে যোগ দিতে সোমবার দুপুর দিল্লি উড়ে গেলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় |লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে ধরাশায়ী করতে ইন্ডিয়া জোট গঠন করেছে বিরোধীরা। সেই জোটের সমন্বয় কমিটিতে থাকা নিয়ে সমস্যায় সিপিএম। পলিটব্যুরোর সিদ্ধান্ত, দল বিজেপিকে পরাস্ত করতে ইন্ডিয়া জোট মজবুত করার ডাক দিলেও সমম্বয় কমিটিতে থাকবে না। সোমবার সংসদের বিশেষ অধিবেশনে যোগ দিতে দিল্লি রওনা হলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। যাত্রার আগে এনিয়ে এবার মুখ খুললেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।এদিন দুপুর ১টা নাগাদ দমদম বিমানবন্দরে পৌঁছন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ঢোকার আগে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ”সিপিএমের কী অবস্থান, তা সিপিএমই স্পষ্ট করে বলতে পারবে। বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমরা প্রত্যেকটা সম মনোভাবাপন্ন দলকে স্বাগত জানিয়েছি। লড়াইয়ে অংশগ্রহণ করুন। সিপিএম বা অন্য রাজনৈতিক দল, কে কী করবে, সেটা তাদের ব্যাপার।”কেন এমন সিদ্ধান্ত সিপিএমের? পলিটব্যুরোর বক্তব্য জোটের সমন্বয় কমিটিতে থাকার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা কমিটিক জাতীয় ‘স্ট্রাকচার’। যেখানে জোটের নেতারা সিদ্ধান্ত নেবেন তার মধ্যে আবার কমিটি তৈরি করা জোটের জন্য প্রতিবন্ধকতা। তবে বিজেপিকে পরাস্ত করতে ইন্ডিয়া জোটে সর্বশক্তি দিয়ে মানুষের আন্দোলন বজায় রাখার ডাক দেওয়া হয়েছে।এনিয়ে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, জানি না কে আশা করছেন সীতারাম ইয়েচুরিরা অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের সঙ্গে একসঙ্গে বসবেন। গোটা ভারতবর্ষে বিজেপি সবচেয়ে বিপজ্জনক। আমাদের দেশের সংবিধান ও যাবতীয় বন্দোবস্থা তছনছ করে দিচ্ছে। বিজেপিকে ঠেকাতে হবে। সারা ভারতে বিজেপির বিরুদ্ধে সব বিরোধী দলগুলিকে একজোট হতে হবে। আবার পশ্চিমবঙ্গের মতো রাজ্যে যেখানে বিজেপি বলে কেউ ছিলই না সেখানে তৃণমূল তাদের ঘাড়ে করে নিয়ে এসেছে। ফলে বাংলায় বিজেপিকে ঠেকাতে গেল তৃণমূলকে বাদ দিয়ে ঠেকানো যায় না। এটা না বোঝার কোনও কারণ নেই। ফলে পশ্চিমবঙ্গের বাইরে যেখানে তৃণমূল নেই সেখানে তৃণমূলের কী ভূমিকা রয়েছে? বিজেপি-তৃণমূল দুই শক্তির বিরুদ্ধেই আমাদের লড়তে হবে।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *