দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- পঞ্চায়েত ভোট চলাকালীন হিংসার ঘটনায় রাজ্যে ৫৪ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করেছিলেন বিরোধীরা। পরে রাজ্যও জানিয়েছিল, মৃতদের পরিবারকে চাকরি এবং অর্থ দিয়ে সাহায্য করবে তারা। সাহায্য করা হবে আহতদেরও। কিন্তু পঞ্চায়েত ভোটের পর দু’মাস কেটে গেলেও সেই সাহায্য যথাস্থানে পৌঁছয়নি বলে অভিযোগ। আদালতে এই অভিযোগ এনে মামলা করেছিলেন বাংলার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী। সোমবার সেই মামলার শুনানিতেই রাজ্যের কাছে জবাব তলব করে হাইকোর্ট।২৬ সেপ্টেম্বরের মধ্যে হলফনামা দিয়ে আদালতকে জানাতে হবে যাবতীয় তথ্য।কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করে অধীরবাবু অভিযোগ করেন, গত ১৪ জুলাই হাইকোর্টে রাজ্য সরকার জানিয়েছিল, পঞ্চায়েত নির্বাচন সংক্রান্ত হিংসায় যে ৫৪ জনের মৃত্যু হয়েছে তাঁদের পরিবারেকে ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ ও তাঁদের পরিবারের ১ জনকে হোমগার্ডে চাকরি দেবে তারা। এছাড়া আহতদেরও ক্ষতিপূরণ দেবে। কিন্তু তার পর প্রায় ২ মাস কাটতে চললেও মাত্র ১৭ জন মৃতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিয়েছে রাজ্য। বাকিরা ক্ষতিপূরণ পেয়েছে কি না তা এখনো অজানা। এই মামলার শুনানিতে সোমবার প্রধান বিচারপতি সরকারি আইনজীবীকে বলেন, ‘পঞ্চায়েত নির্বাচনে মৃতদের নামের তালিকা আদালতে হলফনামা আকারে পেশ করতে হবে। সঙ্গে কারা ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ পেয়েছে ও কারা চাকরি পেয়েছে তা আলাদা করে জানাতে হবে রাজ্য সরকারকে।’ ২৬ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আদালতে পেশ করতে হবে এই হলফনামা।প্রসঙ্গত, অধীরের মামলায় বলা হয়েছিল, ‘ক্ষতিপূরণের’ টাকা কাদের পরিবার পেয়েছেন, কারাই বা হোমগার্ডের চাকরি পেয়েছেন, তা স্পষ্ট নয়। অনেক আহতরাই কোন ক্ষতিপূরণ পাননি। তাই কাদের ওই টাকা এবং চাকরি দেওয়া হয়েছে, তার একটি রিপোর্ট তৈরি করে জেলাশাসকের কাছে রিপোর্ট দিতে হবে।