প্রসেনজিৎ ধর :-বাংলা ছাড়া কোনও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মহিলা নন। মহিলা সংরক্ষণের বিষয়ে কোনও গিমিক নয়, মহিলাদের প্রকৃত সম্মান দেওয়া হোক, এমনটাই চায় তৃণমূল কংগ্রেস। আর তাই, ২০১৪ সাল থেকেই তৃণমূল কংগ্রেস দলের অন্দরে ৩৩ শতাংশের বেশি সংরক্ষণ রয়েছে মহিলাদের জন্য।বুধবার সংসদে মহিলা সংরক্ষণ বিল নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। সেখানে অন্যান্য বক্তাদের তালিকায় ছিলেন তৃণমূল সাংসদও। এই বিলকে সমর্থন করলেও কেন্দ্রের তুমুল সমালোচনা করেন তিনি। কাকলি বলেন, “নারীশক্তি নিয়ে এত কথা বলছে কেন্দ্র। কিন্তু দেশকে গর্বিত করে পদক জিতেছেন যে সমস্ত কুস্তিগিররা, তাঁদের কথায় কান দেয়নি কেন্দ্র। যাঁর বিরুদ্ধে মহিলা কুস্তিগিরদের যৌন হেনস্তা করার অভিযোগ উঠেছে, তিনি এখনও সংসদে বসে রয়েছেন।” এদিন তিনি জানান, দেশের একমাত্র রাজ্য বাংলা, যেখানে একজন মহিলা মুখ্যমন্ত্রী রয়েছেন। বিজেপিকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, ১৬টি রাজ্যে ক্ষমতায় আছে বিজেপি। কিন্তু, একটি জায়গাতেও কোনও মহিলাকে মুখ্যমন্ত্রী করেনি গেরুয়া শিবির। তিনি জানান, ১৯৯৬ সালে প্রথম যখন এই বিলের বিষয়ে আলোচনা শুরু হয়েছিল, সেই সময় থেকেই এই বিলকে সমর্থন করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দেবগৌড়া সরকার সেই সময় বিলটি বিবেচনার জন্য সিপিআই সাংসদ গীতা মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এক সংসদীয় প্যানেলে পাঠিয়েছিল। সেই, সংসদীয় কমিটির সদস্য ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি আরও জানান, মহিলাদের ক্ষমতায়নে বরাবরই সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বারাসাতের সাংসদ বলেন, “বিধানসভায় আমাদের সবথেকে বেশি মহিলা সদস্য আছেন। ভারতের মধ্যে বাংলার মন্ত্রিসভাতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ মহিলা মন্ত্রীদের সংখ্যা সবথেকে বেশি।” তিনি জানান, বাংলায়, স্বাস্থ্য, আইন, শিল্পের মতো গুরুত্বপূর্ণ দফতরের দায়িত্বে আছেন মহিলারা। স্বরাষ্ট্র দফতরও এক মহিলার হাতে রয়েছে। কাকলী বলেন, “আমাদের দলের প্রতিটি স্তরে ২০১৪ থেকেই ৩৩ শতাংশের বেশি সংরক্ষণ রয়েছে মহিলাদের জন্য। লোকসভা ৪০ শতাংশের বেশি মহিলা সদস্য রয়েছে আমাদের। রাজ্যসভাতেও ছবিটা এক।”