দেবরীনা মণ্ডল সাহা,কলকাতা :- নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় স্বস্তি অভিষেকের। তৃণমূল সংসদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নয়। সাফ নির্দেশ দিল হাইকোর্ট। যদিও ইসিআইআর বহাল থাকছে কিন্তু এর ভিত্তিতে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া যাবে না বলেই নির্দেশ বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের। এই রায় ঘোষণার সময় কলকাতা হাইকোর্ট উল্লেখ করেছে, সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র গ্রেফতার হওয়ার পর কোনও নতুন তথ্য জোগাড় করতে পারেনি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। তাই কোনও পদক্ষেপ করা যাবে না অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। তবে তদন্ত প্রক্রিয়া চালু থাকছে। কুন্তল ঘোষের মুখে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম শোনার পরই নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িয়ে যায় তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদের নাম। সর্বোচ্চ আদালতে গেলেও রক্ষাকবচ মেলেনি। তবে নির্দেশ দেওয়া হয়, প্রয়োজনে মামলা করেত পারেন অভিষেক। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা নির্দেশ দিয়েছিলেন, অভিষেকের বিরুদ্ধে এফআইআর করতে পারে ইডি। সেই নির্দেশ খারিজ করার জন্যই বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের বেঞ্চে আবেদন করা হয়। আজ সেই আবেদন খারিজ হয়ে গেলেও অভিষেকের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করতে পারবে না ইডি।এদিকে ফৌজদারি মামলার ক্ষেত্রে এফআইআর দায়ের করা হয়। আর ইডি কোনও মামলায় সরকারিভাবে অভিযোগ দায়ের করলে তাকে বলা হয় ইসিআইআর। এই ইসিআইআর খারিজের দাবি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসে অফিসে তল্লাশি করার পরই ইডির বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অভিষেক। এদিন রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে, সুজয়কৃষ্ণকে গ্রেফতার করার পর ইডি এমন কোনও প্রমাণ জোগাড় করতে পারেনি, যাতে অভিষেকের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা যেতে পারে।
আজ, শুক্রবার এই মামলার শুনানিতে গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ রাখেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। বিচারপতি বলেন, ‘এখনও পর্যন্ত ইডি যা যা অভিযোগ করেছে, তার উপযুক্ত তথ্য প্রমাণ আদালতে হাজির করতে পেরেছে খুবই কম। ইডি মৌখিকভাবে যা যা দাবি করে এসেছে, তার কোনও প্রামাণ্য নথি ইডি দিতে পারেনি। একমাত্র সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রর বয়ান ছাড়া। এই প্রমাণও কতটা গ্রহণযোগ্য তা নিয়েও কিছু সংশয় আছে। তাই প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিষেকের বিরুদ্ধে এই মুহূর্তে কোনও পদক্ষেপ নিতে পারবে না ইডি।’
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal