দেবরীনা মণ্ডল সাহা :- সংসদের বিশেষ অধিবেশনে পাশ হল মহিলা সংরক্ষণ বিল। লোকসভা ও রাজ্যসভা-সংসদের দুই কক্ষেই শাসক-বিরোধী সমস্ত দলের সমর্থনে পাশ হয় মহিলা সংরক্ষণ বিল। শুক্রবার কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী এই বিলের প্রশংসা করলেও, এটিকে কেন্দ্রীয় সরকারের ‘বিভ্রান্ত ও বিভাজনের চেষ্টা’ বলেই উল্লেখ করলেন।উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার রাতেই রাজ্যসভায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পাশ হয়েছে মহিলা সংরক্ষণ বিল |এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বলেন, “মহিলা সংরক্ষণ বিল ভাল বিষয়। কিন্তু এর দুটো গুরুত্বপূর্ণ দিক রয়েছে। এক, এই বিল আইনে পরিণত হওয়ার আগে জনসুমারি করতে হবে। দুই, বিধানসভাগুলির পুনর্বিন্যাস”। বিশেষ অধিবেশনে মহিলা সংরক্ষণ বিল পেশের প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, “কেউ জানে না এই বিল কবে বাস্তবায়ন করা হবে। এটা শুধুমাত্র বিভ্রান্ত করা ও বিভাজনের চেষ্টা।”রাহুল গান্ধী আরও বলেন, “আসল সত্যিটা হল এই সংরক্ষণ আজই কার্যকর করা যায়। এটা কোনও জটিল বিষয় নয়। কিন্তু সরকার তা চাইছে না। সরকার দেশের সামনে এই বিল পেশ করল কিন্তু এটা ১০ বছর বাদে কার্যকর করবে।”মোদি সরকারের বিরুদ্ধে রাহুলের অভিযোগ, ওবিসি জনগণনা এড়িয়ে যাওয়ার জন্যই পাশ করানো হয়েছে এই বিল। প্রধানমন্ত্রী নিজে প্রতিদিন ওবিসি মানুষের কথা বলেন, কিন্তু তাঁদের জন্য তিনি কী করেছেন? প্রসঙ্গত, মহিলা সংরক্ষণ বিল নিয়ে আলোচনার সময়ে এসসি, এসটি, ওবিসি সম্প্রদায়ের মহিলা জনপ্রতিনিধিদের জন্য আলাদা করে সংরক্ষণের দাবি জানিয়েছিলেন সাংসদ সোনিয়া গান্ধীও।শুধু কংগ্রেস নয়, মহিলা সংরক্ষণ বিল নিয়ে কেন্দ্রকে তোপ দেগেছে তৃণমূলও। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কটাক্ষ করে বলেন, জিরো ব্যালেন্স অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্ট ডেটেড চেক এই বিলটি। সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েনও তোপ দেগেছেন মোদি সরকারকে।