প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :-
রাজভবনে এবং রাজ্যপালের উপর নজরদারি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। আর এই অভিযোগের উপর ভিত্তি করে তিনজন পুলিশ কর্মীকে সরিয়ে দেওয়ার সুপারিশ করা হল রাজভবনে কর্তব্যরত ওসি’র কাছে। শুধু তাই নয়, রাজভবনে কারা যাতায়াত করছে তাঁদের উপরও নজরদারি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। অর্থাৎ গোটা রাজভবন এবং রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের উপর নজরদারি করা হচ্ছে বলে সূত্রের খবর। আর তাই এই সরিয়ে দেওয়ার সুপারিশ বলে মনে করা হচ্ছে। কিন্তু তিনজন পুলিশ কর্মী গোটা রাজভবন এবং রাজ্যপালের উপর নজরদারি রাখবেন কী করে? এটা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।রাজভবনের রেসিডেন্সিয়াল কিংবা অফিসিয়াল চত্বরে থাকবে না উর্দিধারীরা। তার পরিবর্তে রাজ্যপালের ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী অথবা সিআরপিএফের নিরাপত্তার দায়িত্ব সামলানোর কথা।রাজভবনের তিনতলা থেকে আগেই কলকাতা পুলিশকে সরিয়ে দিয়েছিলেন প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। তারপর থেকে নিচতলা এবং দোতলায় নিরাপত্তার দায়িত্ব সামলাত পুলিশ। তবে এবার নিচতলা এবং দোতলার নিরাপত্তার দায়িত্বেও উর্দিধারীদের রাখতে চান না রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। রাজভবনের তরফে এমনই সুপারিশ করা হয়েছে। তাঁর অভিযোগ, পুলিশ রাজভবনে নজরদারি চালাচ্ছে। আর তা রুখতেই অ্যাকশন বোসের। রাজ্যপালের বর্তমান সুপারিশের ফলে শুধুমাত্র রাজভবনের প্রবেশপথ এবং বাগানের নিরাপত্তার দায়িত্ব সামলাবে কলকাতা পুলিশ।রাজভবন এবং রাজ্যপালের উপর নজরদারি করার অভিযোগ উঠতেই পাল্টা জবাব দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। দলের সহ–সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘কে এউ অভিযোগ করেছেন, সেটা জানা প্রয়োজন। রাজভবন তো গোপন কোনও সংগঠন নয়। বাইরের দেশও নয়। অন্য দেশের দূতাবাস এমনও তো নয়। রাজভবন রাজ্যপালের থাকার জায়গা। গোপন কাজকর্ম নেই যে, নজরদারির প্রশ্ন উঠবে। সেরকম কি কিছু করছিলেন? যাঁদের সঙ্গে দেখা হওয়ার কথা নয়, এমন লোকজনের সঙ্গে দেখা করছিলেন কি? আমি দায়িত্ব নিয়ে বলছি, আগে আমি দেখেছিলাম, শুভেন্দু অধিকারী রাজভবনে গিয়ে ইডি–সিবিআই অফিসারদের সঙ্গে পরামর্শ করতেন। তাঁদের কাছ থেকে তদন্তের গতিপ্রকৃতি জানতেন। এখনও কি সেরকম কাজ চলছে?’