Breaking News

একশো দিনের বকেয়া আদায়ে মিশন দিল্লি!দিল্লি অভিযানে বাংলার কয়েক হাজার ‘বঞ্চিত’, ভাড়া করা হল বিশেষ ট্রেন

দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা:- ১০০ দিনের কাজ ছাড়াও কাজের প্রাপ্য সহ প্রায় ১৫ কোটি টাকা কেন্দ্র আটকে রেখেছে বলে অভিযোগ তুলে রাজধানী অভিযান করছে ঘাসফুল শিবির। আগামী ২ অক্টোবর দিল্লিতে রয়েছে সেই অবস্থান কর্মসূচি।তৃণমূল সূত্রের খবর, রাজ্য থেকে যারা দিল্লির অভিযানে যাবেন, তারা শুক্রবার থেকেই কলকাতায় জড়ো হওয়া শুরু করবেন। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ট্রেন ও বাসে করে কেন্দ্রীয় প্রকল্পে বঞ্চিতরা আসবেন কলকাতায়। শুক্রবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে তাদের থাকার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। কলকাতা থেকে দিল্লি যাওয়ার জন্য একটি বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করেছে শাসক দল। ৩-৪ হাজার মানুষ সেই ট্রেনে করেই দিল্লি রওনা দেবেন।তবে লোকসংখ্যা কমলেও চিঠিকে হাতিয়ার করতে চলেছে তৃণমূল। ‘বঞ্চনা’র কথা জানিয়ে ১০০ দিনের কাজের সঙ্গে যুক্ত কর্মীরা প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখছেন বলে দাবি তৃণমূলের। ক্যামাক স্ট্রিটে অভিষেকের অফিসে জড়ো করা হয়েছে সে সব চিঠি। বিভিন্ন জেলা থেকে আসা সেই সব চিঠি নিয়ে আগামী ১ অক্টোবরই রাজধানীতে পৌঁছে যাবেন তৃণমূলের বিধায়ক ও সাংসদরা। ৩০ সেপ্টেম্বর সকাল ৮ টায় হাওড়া থেকে রওনা দেবে ওই বিশেষ ট্রেন। এখনও পর্যন্ত যা ঠিক রয়েছে তাতে ২ অক্টোবর গান্ধীজির জন্মজয়ন্তিতে রাজঘাটে শ্রদ্ধা জানাতে যাওয়ার কথা নেতৃত্বের। পরদিনের কর্মসূচি অবস্থান বিক্ষোভের। সেখানে কয়েক হাজার দলীয় নেতা-কর্মীর জমায়েতের কথা। যন্তরমন্তরে তার জন‌্য অনুমতি নিয়ে রেখেছে তৃণমূল। বঞ্চনার প্রতিবাদে লেখা ৫০ লক্ষ চিঠি নিয়ে সেখান থেকে পদযাত্রা করে দলের সাংসদ, বিধায়ক, মন্ত্রী ও পদাধিকারীদের যাওয়ার কথা কৃষিভবন। সেখানে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়নমন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বঞ্চনার কথা তুলে ধরা হবে। যদিও এখনও পর্যন্ত যা খবর তাতে গিরিরাজ এই সাক্ষাৎ এড়িয়ে যেতে পারেন দলের কর্মসূচির কথা বলে।ঘাসফুল শিবিরের অন্দরের খবর, রাজ্যের মন্ত্রী, বিধায়ক ও সাংসদদের ওই অভিযানে সামিল হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে দল। যাঁরা দিল্লি যাবেন তাঁদের নেতাজি ইন্ডোরে রাখার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। পায়ের চোট থাকার কারণে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই অভিযানে যোগ দিতে পারবেন কি না, তা নিয়েও অনিশ্চয়তা রয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, যতটা ঝাঁঝ নিয়ে দিল্লি যাওয়ার কথা বলেছিল তৃণমূল, সংখ্যার নিরিখে অন্তত ততটা ঝাঁঝ থাকছে না। তবে তৃণমূলের দাবি, রামলীলা ময়দানে অনুমতি না মেলায় কোথায় নেতা-কর্মীদের থাকার ব্যবস্থা হবে, সে কথা ভেবেই সংখ্যা কমিয়ে দিয়েছে তৃণমূল।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *