প্রসেনজিৎ ধর :- সিকিমের বিপর্যয়ের জেরে উত্তরবঙ্গেও ভয়াবহ পরিস্থিতি | গতকাল দোমহনির কাছে বিপদসীমার খুব কাছ দিয়ে বইছিল তিস্তার জল | সূত্রের খবর, সিকিমের চুমথাং এলাকায় প্রবল বৃষ্টির জেরে ফের জল বাড়ছে তিস্তায় | তা নিয়ে উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলার জেলাশাসকদের কাছে ইতিমধ্যেই নির্দেশিকা পাঠিয়ে দিয়েছে নবান্ন |নবান্ন সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই দার্জিলিং, কালিম্পং ও জলপাইগুড়ি জেলার জেলাশাসকদের সতর্ক করা হয়েছে | পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বাড়ানো হয়েছে জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনী (এনডিআরএফ)-এর টিম | বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে কালিম্পং ও জলপাইগুড়ি জেলায় | তিস্তার জলস্তর ফের বাড়ার সম্ভাবনা থাকায় প্রয়োজনে আরও বাসিন্দাদের নিরাপদস্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন | জেলাশাসকদের নির্দেশ মুখ্য সচিবের বলেই নবান্ন সূত্রে খবর | মেঘভাঙা বৃষ্টিতে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার উপকূল এলাকা এখন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। আর বৃষ্টি পড়েই চলেছে। উপকূলের আকাশ কালো মেঘে ঢেকে রয়েছে। আর তার জেরে উপকূল এলাকার নদীবাঁধগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নামখানা কাকদ্বীপ এবং সাগর ব্লকের তিনটি এলাকার বাঁধে বড় ধস নেমেছে। প্রায় দেড়শো মিটার বাঁধে ধস নেমেছে বলে খবর। তার জেরে গ্রামের পথঘাটে জল ঢোকার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। শুধু তাই নয়, কাকদ্বীপ ব্লকের মন্দিরঘাট এলাকায় সপ্তমুখী নদীর বাঁধেও প্রায় ৫০ মিটার অংশে ধস নামে।এদিকে সাগরের মহিষামারি এলাকায় হুগলি নদীর বাঁধে গতকালই প্রায় ১০০ মিটার অংশে ধস নেমেছে। তাতে আতঙ্কিত গ্রামবাসী। সাগর, কাকদ্বীপ এবং নামখানা— তিন জায়গায় সেচ দফতর ও পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে বাঁধ মেরামতির কাজ চলছে। আজ, বৃহস্পতিবারও সেখানে বৃষ্টি অব্যাহত বিক্ষিপ্তভাবে। তাতে রাস্তাঘাটে জল থইথই অবস্থা। প্রাকৃতিক দুর্যোগে এখন নাকাল মানুষজন। আজ মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। কোটালের জেরে নদী এবং সমুদ্রের জলস্তর বাড়ছে। জোয়ার থাকার সময় সুন্দরবনের নামখানা, সাগর, পাথরপ্রতিমা, কাকদ্বীপের বাঁধগুলির উপর নজর রাখছে সেচ দফতর।