Breaking News

‘রাজ্যপাল না ফেরা পর্যন্ত ধর্না চলবে’,রাজভবনের সামনে হুঙ্কার অভিষেকের!

দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- রাজ্যপাল কলকাতায় ফিরে দেখা না করা পর্যন্ত রাজভবনের সামনেই বসে থাকবেন তৃণমূল নেতৃত্ব। রাজভবনের সামনে দাঁড়িয়ে তেমনই ঘোষণা করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। টানা অবস্থানে বসবেন তাঁরা। রাতও কাটাবেন ধর্নামঞ্চেই। তবে তৃণমূলের সভায় যোগ দেওয়ার জন্য যাঁরা দূর দূরান্ত থেকে এসেছেন, তাঁরা চাইলে ফিরে যেতে পারেন বলে জানিয়েছেন অভিষেক।গত মঙ্গলবার সময় দিয়েও দিল্লির কৃষি ভবনে তৃণমূল প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেননি কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্য়োতি। উলটে কৃষি ভবন থেকে দিল্লি পুলিশ তাঁদের তুলে নিয়ে যায়। এর প্রতিবাদে সেদিনই অভিষেক ঘোষণা করেছিলেন, ৫ তারিখ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার একই দাবিতে রাজভবন অভিযান হবে, সঙ্গে থাকবেন ১০০ দিনের কাজে বঞ্চিত মানুষরা। রাজ্যপালের কাছে দাবিদাওয়া তুলে ধরা হবে।সেইমতো এদিন সকাল থেকে রাজভবনের নর্থ গেটে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন দলের কর্মী, সমর্থকরা। কিন্তু রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস বন্যা পরিস্থিতি দেখতে উত্তরবঙ্গে চলে যান। ফলে দিনভর অপেক্ষা করেও তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়নি। সন্ধেবেলা ধরনামঞ্চ থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ”আমাদের কর্মসূচি ঠিক ছিল। রাজ্যপাল কেরলে ছিলেন। ৪ তারিখ কলকাতায় আসার কথা ছিল। আমাদের কর্মসূচি ঘোষণা করার ৩০ মিনিট পর রাজভবন থেকে বিভিন্ন গ্রুপে মেসেজ করা হয় যে রাজ্যপাল দিল্লি যাবেন। সেখান থেকে ফিরতে পারেন। আজ সকাল ১১.৩০ নাগাদ মেল আসে রাজ্যপাল হঠাৎ, শিলিগুড়িতে আছেন। সেখানে আমাদের যেতে বলেন। ২-৩ দিন যদি শিলিগুড়ি থাকেন তো যেতে পারি। মেল আবার পাঠানো হল। জানলাম ৪ টে পর্যন্ত উনি শিলিগুড়ি থাকবেন। এই জমিদারি প্রথার বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই। আমাদের রাজ্য সভাপতির নেতৃত্বে মন্ত্রীরা চিঠি দিতে যাবেন রাজভবনে। ভিতরে ঢুকবেন না। চিঠিটা আধিকারিককে দিয়ে চলে আসবেন।”তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, “আমাদের অনেক ধমকানো-চমকানো হয়েছে। তারপরেও ২-৩ তারিখ তৃণমূল কর্মসূচি করেছে। সেই সফল কর্মসূচি আপনারা নিজের চোখে দেখেছেন। বিজেপি এতটাই ভীত-সন্ত্রস্ত যে ইডি-সিবিআই-এর পর দিল্লি পুলিশ, সিআরপিএফ, সিআইএসএফ-কে নামিয়েও তৃণমূলের কর্মসূচিকে দমাতে পারেনি। আমরা স্বৈরচারী শক্তির কাছে আত্মসমর্পণ করব না। আমরা লড়াই চালিয়ে গিয়েছি। কিন্তু, ৩ তারিখ যেভাবে ভুক্তভোগীদের উপর নির্মমভাবে আক্রমণ করা হয়েছে, তাতে মধ্যযুগীয় বর্বরতাও লজ্জা পাবে বলে মনে করি। মহিলাদের চুল ধরে টানতে টানতে ধাক্কা মেরে কৃষিভবন থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। এর জবাব আগামী দিনে গণতান্ত্রিক পথে বাংলার মানুষ দেবে।”

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *