দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- সোমবার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে দেখা করে একশো দিনের কাজের টাকার ফয়সালা চাইলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রীয় সরকারকে সময়সীমা বেঁধে দিলেন তিনি। বৈঠক থেকে বেরিয়ে ধর্না মঞ্চ থেকে পাল্টা হুঁশিয়ারি দিলেন ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ। তবে এই বৈঠকের পর অপেক্ষা করবেন বলে জানিয়েছেন। আর সেই অপেক্ষার অবসানে যদি বাংলার মানুষের পক্ষে সদুত্তর না আসে তাহলে ১ নভেম্বর থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বহত্তর আন্দোলন হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন অভিষেক। সোমবার বিকেল ৪টেয় রাজভবনে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে অভিষেক-সহ তৃণমূলের প্রতিনিধিদল। বৈঠকের পরেই দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেন রাজ্যপাল। কী হয়েছিল সেই বৈঠকে, সেই বিষয়ে দুই পক্ষই জানিয়েছে। যদিও সন্ধ্যায় রাজভবনের উত্তর গেটে ধর্নামঞ্চ থেকে অভিষেক জানান, রাজ্যপাল আসলে কী উত্তর দিয়েছেন, তা তিনি মানুষকে জানাতে চান। তাঁর কথায়, ‘‘ রাজ্যপাল যে উত্তর দিয়েছেন, কেউ জানেন না। তিনি কথা দিয়েছেন, দু’সপ্তাহ নয়, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনা করব। আমি যতদূর শুনেছি, ইতিমধ্যে দিল্লির উদ্দেশে রওনা হয়েছেন তিনি। আশা করছি, এর বিহিত উনি করবেন।’’তারপরেই অভিষেক জানান, রাজ্যপাল আশ্বাস দিলেও তিনি আরও ২৪ ঘণ্টা ধর্নায় বসতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বারণ করেন খোদ তৃণমূল নেত্রী মমতা। তিনি বলেন, ‘‘কল্যাণদা অনুরোধ করেছেন। শোভনদা, সুদীপদা, সৌগতদা-র সঙ্গে কথা বলেছি। দলনেত্রীর সঙ্গেও কথা বলেছি। আরও ২৪ ঘণ্টা বসতে চেয়েছিলাম। নেত্রী বলেছেন, যেহেতু উনি সৌজন্য দেখিয়েছেন, বাংলারও সৌজন্য দেখানো উচিত।’’ অভিষেক জানালেন নেত্রীর সেই নির্দেশ মেনেই সোমবার সন্ধ্যায় ধর্না প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেন তিনি। আরও বলেন, ‘‘১ নভেম্বর যখন রাস্তায় নামব, অভিষেকের নেতৃত্বে নয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে। ৫০ হাজার মানুষ হাঁটবেন।’’ রাজ্যপালের সঙ্গে কথা বলার পর মঞ্চ থেকে তাঁকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন অভিষেক। আর বলেন, ‘আমার তিনটে দুটি প্রশ্ন ছিল। কিন্তু রাজ্যপালের কাছে উত্তর ছিল না। ২১ লক্ষ ৭৫ হাজার পরিবার দু’বছর কাজ করে টাকা পায়নি। তাই তিন সপ্তাহ সময় নিন। আর জানতে চান কোন আইনে টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্রীয় সরকার। আর আগামী ৩১ অক্টোবরের পরে জানাতে হবে টাকা আটকে রাখার কারণ। সদুত্তর না পেলে আন্দোলন থেকে সরব না।’ সুতরাং এখন চাপ বাড়ল কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্যপালের উপর বলে মনে করা হচ্ছে।