প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :-মেঘ ভাঙা বৃষ্টি এবং তিস্তার হড়পা বানের জেরে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল সিকিম। তাতে বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। জলের প্রবাহে ভেসে গিয়েছিল কয়েকশো ঘরবাড়ি। এ রাজ্যের তিস্তা অববাহিকা এলাকা কালিম্পংয়েও প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সেখানে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও ঘরছাড়া হয়েছিলেন কয়েক হাজার মানুষ। কালিম্পং জেলাতে সংক্রান্ত প্রাথমিক রিপোর্ট নবান্নে পাঠানো হল। সেই রিপোর্ট অনুযায়ী কালিম্পং জেলায় সব মিলিয়ে তিস্তার হড়পা বানের ফলে প্রায় ২৫০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।তিস্তার স্রোতে বানভাসি এ রাজ্যের জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার ও কালিম্পং-ও।অন্যদিকে, দুর্গত পরিবারগুলির জন্য দুয়ারে সরকারের বিশেষ ক্যাম্পে করবে রাজ্য সরকার। ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী।এদিন এক্স হ্যান্ডেলে মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, সিকিমে তিস্তায় বন্যায় আমাদের পাহাড় ও ডুয়ার্সের বিস্তীর্ণ এলাকায়ও ক্ষতি হয়েছে। আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি ও কালিম্পং জেলায় দুর্গত পরিবারে জন্য দুয়ারে সরকারের বিশেষ ক্যাম্প করা হবে। এই ক্যাম্প থেকে হারিয়ে যাওয়া রেশন কার্ড, বিভিন্ন সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পের কার্ড-সহ বিভিন্ন নথি দেওয়া হবে। কোথায় কবে দুয়ারে সরকারের শিবির বসবে, তা সংশ্লিষ্ট জেলার জেলাশাসকেরা জানিয়ে দেবেন’| নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে সমীক্ষা চালিয়ে ছিল জেলা প্রশাসন এবং ‘গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’ (জিটিএ)। কী কী ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা প্রাথমিক রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে । এছাড়া বাড়িঘর থেকে শুরু করে গাড়ি, দোকান সহ আরও বিভিন্ন ধরনের ক্ষয়ক্ষতির বিস্তারিত রিপোর্ট আরও এক দফায় জমা দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। বুধবার জিটিএ’র সভা ছিল। সেই সভায় এই রিপোর্ট পেশ করা হয়। জানা গিয়েছে, এই রিপোর্ট সার্বিকভাবে তৈরি করার পর কেন্দ্র এবং রাজ্যের কাছে এ বিষয়ে আবেদন জানানো হবে। গত ৪ অক্টোবর তিস্তার বিপর্যয় নেমে এসেছিল। তাতে এখনও উদ্ধার কাজ চলছে। বহু মানুষ এখনও ত্রাণ শিবিরে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন জিটিএ প্রধান অনীত থাপা। যদিও ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত রিপোর্ট তৈরি হয়নি। সেই রিপোর্ট চূড়ান্ত করার পর কেন্দ্র ও রাজ্যের কাছে আবেদন জানানো হবে বলে জানিয়েছেন জিটিএ প্রধান।