দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- অধিকারী পরিবারের হাটে এবার হাঁড়ি ভেঙে দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। আয়কর রিটার্ন দেখিয়ে শুভেন্দু অধিকারী নিজেকে স্বচ্ছ প্রমাণ করার চেষ্টা করেছিল, পাল্টা তাঁর বাবার (শিশির অধিকারী) নির্বাচনী হলফনামা সামনে নিয়ে এসে বিতর্ক উসকে দিয়েছেন তিনি। এমনকী সেখানে থাকা গরমিলও কুণাল ঘোষ এক্স হ্যান্ডেলে তুলে ধরে হাটে হাঁড়ি ভেঙে দিয়েছেন। শুক্রবার কুণাল ঘোষ বলেছিলেন, ‘অধিকারী পরিবারের সব আর্থিক বেনিয়ম সামনে আসবে।’ আর শনিবারই নিজের এক্স হ্যান্ডলে শিশির অধিকারীর সম্পত্তির তথ্য তুলে ধরলেন। সেখানে সম্পদের গরমিলের কথা তুলে ধরে, সেটা কোন জাদুবলে সম্ভব? প্রশ্ন তুলেছেন কুণাল।কুণালের দাবি, “২০০৯ সালের হলফনামা অনুযায়ী টোটাল অ্যাসেট ১০ লাখের একটু বেশি। তিনি সাংসদ হলেন, তাঁকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী করলেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। ২০১১ সালে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভার সদস্যদের সম্পত্তির তালিকা প্রকাশ হল। তাতে তাঁর চূড়ান্ত সম্পত্তি হল ১৫ লক্ষ টাকা। ২০১২ সালে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সভার মন্ত্রীদের সম্পত্তির তালিকা ১০ কোটি ৩৪ লক্ষ ৪৮ হাজার ৫০০ টাকা। এটা কোন ম্যাজিকে হচ্ছে? এই তথ্য কী ভুল? ভুতুড়ে টাকা নাকি?”তৃণমূল নেতার বক্তব্য, “কীভাবে বাড়ল এত টাকা? আলাদিনের আশ্চর্য প্রদীপ কিনেছিলেন? নাকি অধিকারীদের আশ্চর্য প্রদীপ আছে? আবার ২০১৪ সালে ১ কোটি ৯৪ লক্ষ ৯৮ হাজার ৩৮১ টাকা। দশ কোটি থেকে নয় কোটিতে নেমে গেল? কাকে দিলেন এত টাকা। ২০১৯ সালে নির্বাচন কমিশনে জানালেন তিন কোটির বেশি। যে অসঙ্গতি ধরা পড়ল, এক বিভিন্ন জনকে বিভিন্ন তথ্য কেন? দুই এক বছরে এত টাকা হল কী করে? আমি প্রাক্তন সাংসদ হিসাবে ইডি, সিবিআইকে চিঠি লিখব। প্রধানমন্ত্রীর দফতরে চিঠি লিখব। বৈধ টাকা হলে কমানোর কী আছে? হিসাব বর্হিভূত সম্পত্তির কারণে যথাযথ তদন্ত হোক।”যদিও এই প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্য করতে চাননি শিশির অধিকারী। তিনি জানিয়েছেন, ‘কুণাল ঘোষের প্রশ্নের কোনও জবাব দেব না।’