দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- এবার হানা বন দফতরে। মঙ্গলবার সকালে সল্টলেকে অরণ্য ভবনে হানা দেয় ইডি। সূত্রের খবর, রেশন দুর্নীতির তদন্তেই এই হানা। রেশন দুর্নীতিতে ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ওরফে বালু। এই বালুই আবার রাজ্যের বর্তমান বনমন্ত্রী। প্রশ্ন উঠছে, রেশন-তদন্তের হাত ধরে আবার নতুন কোনও পর্দা না ফাঁস হয়!রেশন দুর্নীতি মামলায় জড়িত সন্দেহে অক্টোবর মাসে গ্রেপ্তার করা হয়েছে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে। বর্তমানে হেফাজতে রয়েছেন তিনি। এদিকে দুর্নীতির শিকড়ে পৌঁছতে মরিয়া ইডি। মঙ্গলবার দুপুর ১ টা বেজে ৭ টা নাগাদ অরণ্যভবনে যান ইডির আধিকারিকরা। সোজা চলে যান নতলায়। সেখানেই বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ঘর। বনমন্ত্রীর ঘরে চলে তল্লাশি। ২০২১ পর্যন্ত খাদ্যমন্ত্রী ছিলেন জ্যোতিপ্রিয়। পরে বদলি হয়ে বনমন্ত্রী হন। ইডির দাবি, বনমন্ত্রী হওয়ার পর অরন্যভবন থেকে দুর্নীতিমূলক কার্যকলাপ করেছেন তিনি। সেই কারণেই তল্লাশি। খাদ্য দুর্নীতি মামলায় কয়েকদিন আগে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বিরুদ্ধে যে চার্জশিট ইডি জমা দিয়েছে, সেখানে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে, এই খাদ্য দুর্নীতি অর্থাৎ একদিকে বণ্টন, অন্যদিকে ধান কেনা নিয়ে দুর্নীতি চলছিল ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত। অর্থাৎ ২০২১ সালে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের দফতর বদলের পরও এই দুর্নীতি রমরমিয়ে চলছিল।সেখান থেকে দু’টো প্রশ্ন উঠছে। ১. বালুর দফতর বদলের পরেও যদি খাদ্য দফতরে সেই দুর্নীতি চলে, তাহলে কি বর্তমান খাদ্যমন্ত্রী এ সম্পর্কে ওয়াকিবহাল? ২. দফতর বদলের পরেও অরণ্যভবনের ৯ তলার দফতর থেকে খাদ্য দফতরের দুর্নীতির সুতো সামলাতেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক নিজেই? সূত্রের খবর, বাকিবুর রহমানের হালহকিকত জানতে তাঁর শ্যালক অভিষেক বিশ্বাসকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি। সেই অভিষেকই নাকি জানিয়েছেন, বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের আশীর্বাদেই অরণ্য ভবনে চাকরি পেয়েছেন তিনি।ইডি আধিকারিকদের ইঙ্গিত, অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদ করেই বেশ কিছু জোরাল তথ্যপ্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। যাঁর উপর ভিত্তি করে দফতর হারানোর পরও অরণ্য ভবনে বসেই পুরনো দফতরের দুর্নীতির সমস্ত কলকাঠি নাড়তেন বালু।