Breaking News

কিছুতেই স্বস্তি পাচ্ছেন না সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র!কণ্ঠস্বর মামলায় ডিভিশন বেঞ্চে স্বস্তি পেলেন না কালীঘাটের কাকু

প্রসেনজিৎ ধর, কলকাতা :- সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের কন্ঠস্বরের নমুনা এসেছে ইডি-র হাতে। এবার তদন্তের স্বার্থে সেটা খতিয়ে দেখবে কেন্দ্রীয় সংস্থা। কন্ঠস্বর মেলাতে পারলে নিয়োগ দুর্নীতির অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বেরিয়ে আসতে পারে, এমনটাই মনে করছেন তদন্তকারীরা। সেই কন্ঠস্বর নিয়ে মামলা করেও রেহাই পেলেন না নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত সুজয়কৃষ্ণ। বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেল ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ‘কালীঘাটের কাকু।’ কিন্তু সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশই বহাল রাখল ডিভিশন বেঞ্চ। অর্থাৎ কন্ঠস্বর পরীক্ষায় কোনও বাধা নেই। তবে ট্রায়ালে সেই কন্ঠস্বর প্রমাণ হিসেবে ব্যবহার করা যাবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চ।গত বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রূদ্ধদ্বার শুনানি হবে বলে জানান বিচারপতি অমৃতা সিনহা। এর পর বন্ধ করে দেওয়া হয় তাঁর এজলাসের লাইভ স্ট্রিমিং। শুনানি শেষ হওয়ার পর বিচারপতির নির্দেশ প্রকাশ্যে আসার আগেই এসএসকেএম হাসপাতালে পৌঁছে যায় ইডি। রাত ৯টা নাগাদ সেখানে ভর্তি থাকা অভিযুক্ত সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে হেফাজতে নিয়ে জোকা ইএসআই হাসপাতালে যান তাঁরা। সেখানে গভীর রাতে সুজয়কৃষ্ণের কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। ভোর রাত ৩টে ২০ মিনিট নাগাদ সুজয়কৃষ্ণকে নিয়ে এসএসকেএম-এ ফেরত আসে ইডি | গত অগাস্ট মাস থেকে সুজয়কৃষ্ণের কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহের চেষ্টা করছিল ইডি |সেই চেষ্টা অবশেষে সাফল্য পায়।

কিন্তু ওই ঘটনার পরদিনই বিচারপতি সিনহার নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন সুজয়কৃষ্ণ। তাঁর আইনজীবীরা অভিযোগ করেন, যে মামলায় বিচারপতি এই নির্দেশ দিয়েছেন তাতে সুজয়কৃষ্ণকে পক্ষ করা হয়নি। তাই আদালতের অনুমতি ছাড়া যেন কণ্ঠস্বরের নমুনা প্রমাণ হিসাবে ব্যবহার করা না হয়।এদিন সুজয়কৃষ্ণের আবেদনের শুনানিতে বিচারপতি সেনের ডিভিশন বেঞ্চ কণ্ঠস্বরের নমুনাকে ভিত্তি করে তদন্তে কোনও স্থগিতাদেশ দেননি। ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে যেহেতু মূল মামলাটি বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের ঘরে বিচারাধীন রয়েছে তাই তিনিই এব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।তবে এদিন বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণের কথা উল্লেখ করেছেন বিচারপতিরা। তাঁরা জানিয়েছেন, এই ক্ষেত্রে অভিযুক্তের অধিকারের দিকটি খেয়াল রাখা উচিত। তাছাড়া অন্য বেঞ্চে বিচারাধীন মামলায় অরেক বিচারপতির নির্দেশ দেওয়া বিচারব্যবস্থার জন্য ভালো নজির নয়।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *