দেবরীনা মণ্ডল সাহা :- ধূপগুড়িকে নতুন মহকুমা ঘোষণা। জোড়া ব্লক নয়া ধূপগুড়ি মহকুমায়। এলাকা পুনর্বিন্যাস করা হল জলপাইগুড়ি জেলার। জলপাইগুড়ি জেলার জলপাইগুড়ি মহকুমায় থাকছে ৫টি ব্লক। যথাক্রমে কোতয়ালি, ময়নাগুড়ি, রাজগড়, নিউ জলপাইগুড়ি ও ভক্তিনগর। মাল মহকুমায় থাকছে ৩টি ব্লক- মাল বাজার, মেটেলি ও নাগরাকাটা। আর নতুন তৈরি হওয়া ধূপগুড়ি মহকুমায় থাকছে দুটি ব্লক- ধূপগুড়ি ও বানারহাট। বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী নিজে এই সুখবর শুনিয়েছিলেন। আর পর দিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সোশাল মিডিয়া পোস্টে এ নিয়ে আনন্দ প্রকাশ করেছেন। সেইসঙ্গে সরকারি বিজ্ঞপ্তিও সামনে এসেছে। তাতে ধূপগুড়ির ভৌগলিক পরিবর্তনের বিস্তারিত জানা গিয়েছে।
শুক্রবার সেই সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হতেই তা সমাজমাধ্যমে পোস্ট করে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় লিখলেন, ‘‘কথা দিয়ে কথা রাখার নামই হল তৃণমূল।’’ গত বছর ধূপগুড়ি উপনির্বাচনের প্রচারে গিয়ে অভিষেকই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, ধূপগুড়িকে মহকুমা করা হবে। সেইমতো চারমাসের মধ্যেই তা হয়ে গেল। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক আরও লিখেছেন, ‘‘গত ২ সেপ্টেম্বর আমি কথা দিয়েছিলাম, ধূপগুড়িকে পৃথক মহকুমায় উন্নীত করা হবে। আমাদের মা-মাটি-মানুষের সরকার তা পূরণ করেছে। মাইল মাইল দূর থেকেও আমি আজ সেখানকার মানুষের উদ্বেল হওয়া মুখগুলি দেখতে পাচ্ছি।’’ গতকালই ধূপগুড়িকে নতুন মহকুমা ঘোষণার সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছিল নবান্নের তরফে। এদিন জারি করা হল নির্দেশিকা। স্বরাষ্ট্র দফতরের তরফে এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। বেশ কিছুদিন ধরেই ধূপগুড়িকে আলাদা মহকুমা ঘোষণার দাবি জানাচ্ছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। জলপাইগুড়ি জেলার মানুষের কাজকর্মের সুবিধার জন্যই এই দাবি ওঠে। কারণ বেশ কিছু কাজের ক্ষেত্রে সদরে আসতে হলে, অনেকটা দূর আসতে হত। মহকুমা হলে সেক্ষেত্রে অনেকটা সুবিধা হয়। গত অক্টোবরেই ধূপগুড়িকে মহকুমা করা হবে বলে ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় । কিন্তু আইনি জটিলতার কারণে আটকে ছিল সেই অনুমোদন প্রক্রিয়া। মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে শেষে সেই আইনি জট কাটে। ধূপগুড়ি মহকুমার গঠনের প্রস্তাবে গতকাল মন্ত্রিসভার বৈঠকে শিলমোহর পড়ে। ক্যাবিনেটে পাশ হয় ধূপগুড়িকে মহকুমা গঠনের প্রস্তাব।