দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- মেডিক্যাল পড়ুয়াদের মধ্যে সংরক্ষিত আসনে ভর্তির ক্ষেত্রে ভুয়ো শংসাপত্র মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এদিন বেলা আড়াইটের মধ্যে এজলাসে হাজির হতে হবে সিবিআই আধিকারিকে, এমনটাই নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছিলেন, রাজ্যের তরফ থেকে জমা করা বেশ কিছু নথি সিবিআই-এর হাতে তুলে দেবেন তিনি।এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে এদিনই বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করেন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত। তাঁর বক্তব্য ছিল, সিঙ্গল বেঞ্চ তাঁর কোনও কথাই শোনেননি।
এদিন অ্যাডভোকেট জেনারেলের মৌখিক আবেদনেই বিচারপতি সৌমেন সেন সিঙ্গেল বেঞ্চের দেওয়ার নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে। মামলার পরবর্তী শুনানি হতে চলেছে বৃহস্পতিবার। উল্লেখ্য এর আগে ভুয়ো শংসাপত্রের কারণে ১৪ জন চিকিৎসকের নিয়োগ বাতিল করে দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।উল্লেখ্য, জাল জাতিগত শংসাপত্র দেখিয়ে মেডিক্যালে ভর্তি হওয়ার অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টের দরজায় কড়া নাড়েন পশ্চিম মেদিনীপুরের ইতশা সোরেন। তিনি অভিযোগ তুলেছিলেন, ২০২৩ সালে তিনি নিট পাশ করেন। কিন্তু, সরকারি কলেজে তিনি ভর্তির সুযোগ পাননি। তাঁর অভিযোগ ছিল, জাল জাতিগত শংসাপত্র দেখিয়ে ২৭ জন অ্যাডমিশন নিয়েছেন। আর সেই জন্যই তিনি যোগ্য হওয়া সত্ত্বেও সুযোগ পাননি। যাঁরা জাতিগত শংসাপত্র জমা দিয়েছিলেন তাঁদের মধ্যে অনেকেরই পদবি সিংহ বা ভৌমিক রয়েছে বলে জানান।এই মামলাটি ওঠে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চে। এই পদবির মানুষরা কি আদৌ জাতিগত শংসাপত্র পেতে পারেন? তা নিয়ে আগের শুনানিতে জবাব জানতে চেয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। পাশাপাশি সমস্ত পক্ষের বক্তব্য জানতে চান বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। পাশাপাশি এই পদবির মানুষজনরা কি কোনওভাবে কাস্ট সার্টিফিকেট পেতে পারে তাও জানতে চেয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এবার সেই মামলাতেই এদিন সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন। পরবর্তীতে ডিভিশন বেঞ্চ তাতে স্থগিতাদেশ দেয়।