প্রসেনজিৎ ধর :-সিএএ থেকে মহুয়া মৈত্র, কৃষ্ণনগরের মাটিতে দাঁড়িয়ে এই দুই ইস্যুতে কী বার্তা দেন মোদি সেদিকেই নজর ছিল সকলের। কিন্তু সিএএ প্রসঙ্গে একটি কথাও বললেন না প্রধানমন্ত্রী। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার জনসভা থেকে মহুয়া মৈত্রকে তুলোধোনা করলেও নীরব রইলেন মোদী । যদিও সভার শুরুতেই মোদীর জন্য সুর বেঁধে দিয়েছিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। টেনেছিলেন মহুয়ার বিদেশের মাটি থেকে সংসদের লগ-ইন আইডি ব্যবহার প্রসঙ্গ। মনে করান মা কালীকে নিয়ে মহুয়ার মন্তব্যও। তার পরেই বক্তৃতা করতে উঠে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও সেই প্রসঙ্গ ছুঁয়ে যান। কিন্তু মোদী একটি বারের জন্যও ব্যক্তি মহুয়াকে আক্রমণের পথে হাঁটেননি। বরং, একের পর এক প্রসঙ্গ টেনে তৃণমূল এবং রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করেছেন।
কৃষ্ণনগরের জনসভায় প্রথম বক্তব্য রাখেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সেখানে প্রথম থেকে তাঁর নিশানায় ছিলেন বহিষ্কৃত তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। সুকান্ত বলেন, “এখানকার সাংসদ বলেছিলেন, মা কালী নাকি মদ খায়। এসব শুনে মুখ্যমন্ত্রী চুপ থাকেন। একজন সাংসদ এটা বলার পর কীভাবে কেউ চুপ থাকতে পারেন জানি না।” এরপর টাকার বিনিময়ে প্রশ্ন বিতর্কে মহুয়াকে বিঁধে আরও বলেন, “একজন সাংসদ সামান্য পয়সা, লিপস্টিক, পারফিউমের লোভে নিজের লগ-ইন আইডি অন্যকে দিয়ে দেন। তাঁকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এর পরও মমতা তাঁকে জেলা সভাপতি করে রেখেছেন। উনি ভাবছেন, বিশেষ সম্প্রদায়ের ভোট আছে বলে জিতে যাবে। এটা হবে না। ওই সাংসদ পবিত্র মাটিকে অপবিত্র করেছে।” শুভেন্দুও আক্রমণ করেন মহুয়াকে। কিন্তু মোদীর মুখে মহুয়া প্রসঙ্গে শোনা গেল না একটি শব্দও। এদিকে নদিয়ার একটা অংশ মতুয়া অধ্যুষিত। ফলে সকলেরই ধারণা ছিল সিএএ নিয়ে কোনও বড় বার্তা দিতে পারেন মোদি। কারণ, বিজেপি নেতারা প্রায়ই সিএএ নিয়ে সরব হন। সম্প্রতি সিএএ লাগুর দিন ঘোষণা করেও পিছিয়ে এসেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। কিন্তু কৃষ্ণনগরের সভায় সিএএ নিয়েও কোনও বার্তা দিলেন না মোদি। প্রসঙ্গত, লোকসভা নির্বাচনে কৃষ্ণনগর আসনে মহুয়াকেই প্রার্থী করতে চান দলনেত্রী মমতা। সেই লক্ষ্যে মহুয়ার বহিষ্কার নিয়ে সরব হন শুভেন্দুও। তিনি বলেন, ‘‘কৃষ্ণনগরের সাংসদ এখন নেই। প্রাক্তন হয়েছেন। কেন হয়েছেন জানেন? দেশের লোকসভার পাসওয়ার্ড বাইরে বিক্রি করেছেন!’’
Hindustan TV Bangla Bengali News Portal