দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- লোকসভা ভোটের আগে গোটা দেশে চালু হয়ে গেল সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ)। একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে সিএএ চালু হওয়ার কথা জানিয়ে দিল কেন্দ্রীয় সরকার। বিল পাশ হওয়ার পর চার বছর পর চালু হল হল সিএএ।ওই আইনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তানে মতো দেশগুলি থেকে মুসলিম ছাড়া অন্যান্য ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা যারা ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভারতে এসেছেন তারা এদেশের নাগরিকত্ব পাবেন। আজ প্রকাশ করা হচ্ছে সেই আইনের বিধি। সিএএ-র বিধির প্রকাশের খবরের পরই নবান্নে একটি জরুরি বৈঠকে ডেকেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি, তিনি বলেন কারও নাগরিকত্ব বাতিল হলে ছেড়ে কথা বলব না।সিএএ নিয়ে বাংলা, অসম ও ত্রিপুরার মতো রাজ্যের মানুষ সমস্যায় পড়তে পারেন। এমনটাই আশঙ্কা করা হচ্ছিল কোনও কোনও বিরোধী দলের পক্ষ থেকে। কারণ এনআরসি হওয়ার পর অসমের ৪০ লাখ মানুষ সমস্যায় পড়ে গিয়েছিলেন। এনিয়ে বাংলায় বড় কোনও আন্দোলন না হলেও দিল্লির শাহিনবাগে এ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন হয়। তা নিয়ে তোলপাড় হয় দেশ।সিএএ নিয়ে জরুরি বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী৷ সোমবার সূত্র মারফত সিএএ কার্যকর হওয়ার কথা কানে আসতেই নবান্নে বৈঠকে বসলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ মুখ্যসচিব ও স্বরাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে৷ সূত্র মারফত খবর মিলেছে, সেখানে সিএএ নিয়েই আলোচনা হয়েছে৷ আর তারপরেই সাংবাদিক বৈঠক শুরু করেন মুখ্যমন্ত্রী৷ তিনি বলেন, ‘জরুরি প্রেস কনফারেন্স করতে হচ্ছে৷ বিজেপির এটা কাজ, আগেই টিভিগুলোকে খাইয়ে দেওয়া৷ কোন সালে সিএএ পাশ করা হয়েছিল? তার পর বারবার এক্সটেনশনে চার বছর লেগে গেল৷ এটা একটা রাজনৈতিক পরিকল্পনা৷ ২০২০ সালে সিএএ আইন পাশ হয়, বলা হচ্ছে এটি নাকি আজকেই ঘোষণা করা হবে৷ এটা একটা রাজনৈতিক পরিকল্পনা৷ যদি কোনও বৈষম্য হয়, আমরা সেটা মানি না৷’তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘আগে যে সুযোগগুলো তাঁরা পেতেন, সেটা কি অবৈধ হবে না? বৈধ হবে? তাহলে যাদের জন্য সিএএ হয়েছে, তাঁদের ভোটেই তো প্রধানমন্ত্রী,মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন।তাহলে কী তাদের ভোটের কোনও মূল্য নেই? কারওর নাগরিকত্ব বাতিল হলে, আমরা চুপ থাকব না, আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ কর, সিএএ-এর নাম করে কাউকে ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠানো মানব না৷ তবে আমি অপেক্ষা করছি, পুরো আইনটি দেখার জন্য৷ পশ্চিমবঙ্গ ও উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলির জন্য এটি খুবই সেনসিটিভ৷’