দেবরীনা মণ্ডল সাহা, কলকাতা :- ভূপতিনগর মামলায় অবশেষে স্বস্তি পেল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। অফিসারদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা যাবে না বলে নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বুধবার বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের বেঞ্চে ছিল মামলার শুনানি। সেখানেই এনআইএ-কে রক্ষাকবচ দেওয়া হয়েছে। হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, এনআইএ আধিকারিকদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা যাবে না। ভিডিও কনফারেন্সে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিল পুলিশ। তবে সেক্ষেত্রে ৭২ ঘণ্টা আগে নোটিস দিতে হবে। ২০২২ সালে ডিসেম্বরে ভূপতিনগরের নাড়ুয়াবিলা গ্রামের রাজকুমার মান্নার দোতলা বাড়িতে বিস্ফোরণ ঘটে। প্রাণ হারান ৩ জন। হাইকোর্টের নির্দেশে সেই ঘটনার তদন্ত করছে এনআইএ |শনিবার ভূপতিনগর বিস্ফোরণের কাণ্ডের তদন্তে পূর্ব মেদিনীপুরের নাড়ুয়াবিলা গ্রামে গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। সন্দেশখালিতে ইডি আধিকারিকদের মতো ভূপতিনগরেও তল্লাশি চলাকালীন আক্রান্ত হন এনআইএ অফিসাররা। অভিযোগ,এনআইএ আধিকারিকদের উপর চড়াও হন গ্রামবাসীদের একাংশ। স্রেফ ইটবৃষ্টি নয়, ভাঙচুর চলে গাড়িতেও। পালটা এনআইএ-র বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেন ধৃত তৃণমূল নেতা মনোব্রত জানার স্ত্রী। ভূপতিনগর থানায় এনআইএ আধিকারিকদের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগও দায়ের হয় | এফআইআর দায়ের করে সেই ঘটনার তদন্তও শুরু করে পুলিশ । যার প্রেক্ষিতে বিবৃতি জারি করে এনআইএ দাবি করে,”যা অভিযোগ উঠেছে, সবই মিথ্যা। এনআইএ-র ভাবমূর্তিকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা চলছে।” বিচারপতি বলেন, “কোনও প্রমাণ ছাড়া অফিসারের বিরুদ্ধে গুরুতর আহত করার ধারা কেন যুক্ত করলেন?কেস ডায়েরিতে আঁচড় বা গুরুতর আঘাতের কোনও উল্লেখ নেই। তাও কীভাবে ৩২৫ ধারা? কে তদন্ত করছিলেন? প্রাথমিক তদন্তের প্রয়োজন অনুভব করেছিলেন?” পালটা যুক্তি দেয় রাজ্য। দাবি, কোনও মহিলা যদি এসে অভিযোগ করেন থানায়, তাহলে পুলিশ তা গ্রহণ করতে বাধ্য। অভিযুক্তের স্ত্রীর অভিযোগ নিয়ে কেন পুলিশ এত উদ্বিগ্ন, সে প্রশ্নও তোলেন বিচারপতি। সওয়াল জবাব শেষে ভূপতিনগর বিস্ফোরণ কাণ্ডে রক্ষাকবচ পেল এনআইএ |