দেবরীনা মণ্ডল সাহা , কলকাতা :-পয়লা বৈশাখে বাংলার প্রতিষ্ঠা দিবস পালন করতে নির্বাচন কমিশনের কাছে অনুমতি চেয়েছিল রাজ্য সরকার। সেই অনুমতি মিলেছে। তাই রাত পোহালেই বাংলা নববর্ষ এবং বাংলা দিবস পালিত হবে। এবারের বাংলা দিবসের অভিনবত্ব হচ্ছে সকালে শহরবাসীর ঘুম ভাঙবে রবীন্দ্র সংগীত দিয়ে। কানে আসবে কালজয়ী সব গান। এটা এবার প্রথম হচ্ছে। কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, পয়লা বৈশাখ রবিবার ১৪৪টি ওয়ার্ডেই পালন করা হবে পশ্চিমবঙ্গ দিবস। তিলোত্তমার ১৪৪টি ওয়ার্ডে ষোলোটি বরো। প্রতিটি বরোতে লাগানো হয়েছে মাইক। সকাল থেকে সেখানে বাজবে রবীন্দ্রসঙ্গীত । পুরসভা সূত্রে খবর, নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে কোনও রকম উপহার বিতরণ নয়, অনুষ্ঠানে প্রাধান্য পাবে স্রেফ বাংলার সংস্কৃতি। কেউ পুরুলিয়া থেকে নিয়ে আসছেন আদিবাসী সংস্কৃতি, কেউ বাংলার জাতীয় উৎসবকে সম্মান জানিয়ে নিয়ে আসছেন কয়েক হাজার ঢাকি। কোথাও রণপা দিয়ে হেঁটে যাবেন শয়ে শয়ে মানুষ। প্রত্যেকটি বরোতে মাইক লাগিয়ে চালানো হবে রবীন্দ্র সংগীত। পয়লা বৈশাখকে ‘বাংলা দিবস’ হিসেবে পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘বাংলার মাটি বাংলার জল’ গানটি এখন বঙ্গের সঙ্গীত হয়ে উঠেছে।তবে এই বাংলা দিবস অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারবেন না বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কারণ এখন নির্বাচনের আদর্শ আচরণবিধি চলছে। কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, এই কারণে কোনওরকম উপহার দেওয়া বা নেওয়া হবে না। বাংলা দিবস বা রাজ্য দিবস পালিত হবে বাংলার সংস্কৃতির উপর নির্ভর করেই।এমনকী থাকছে নানারকম বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান। পশ্চিমবঙ্গ দিবসকে সম্মান জানিয়ে অনেক জায়গায় বেরবে শোভাযাত্রা। তাই রাত পোহালে বাংলা নববর্ষে পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালনে আলাদা উন্মাদনা দেখা যাচ্ছে।