Breaking News

সন্দেশখালির বিজেপি নেত্রী মাম্পিকে জামিন দিল কলকাতা হাইকোর্ট!

নিজস্ব সংবাদদাতা :- কলকাতা হাইকোর্টে সন্দেশখালির বিজেপি নেত্রী মাম্পি ওরফে পিয়ালি দাসের জামিন। ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন দিলেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। আপাতত জেলা পুলিশ সুপারের নজরদারিতে তদন্ত চলবে। আগামী ১৯ জুন মামলার পরবর্তী শুনানি। গ্রেপ্তারির ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি।আত্মসমর্পণ করতে গিয়ে জেলে যেতে হয়েছিল সন্দেশখালির বিজেপি নেত্রী মাম্পি দাসকে। নিম্ন আদালতের সেই নির্দেশে কার্যত ক্ষোভ প্রকাশ করেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। শুক্রবার জামিন সংক্রান্ত মামলায় শুনানির শুরুতেই মাম্পিকে জামিন দেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন তিনি। এজি-কে ডেকে পাঠান আদালতে। তারপরই রায় ঘোষণা করেন বিচারপতি।নিম্ন আদালতের রায়ে স্থগিতাদেশ দেওয়া বা সেটিকে খারিজ করে দেওয়ার বিশেষ ক্ষমতা থাকে হাইকোর্টের হাতে। সেটি প্রয়োগ করেই এদিন জামিন মঞ্জুর করা হয়েছে মাম্পির। অভিযোগ, ওই মামলায় পুলিশ কেস ডায়েরি দেখায়নি। তারপরও কীভাবে গ্রেফতার করা হল? কেন জামিন অযোগ্য ১৯৫এ ধারা যোগ করা হল মাম্পির বিরুদ্ধে? সেই প্রশ্নই তুলেছেন বিচারপতি সেনগুপ্ত। মাম্পির আইনজীবী দাবি করেন, পুলিশ কেস ডায়েরি না দেওয়ায় মাম্পি কী কী অপরাধ করেছে, তাও স্পষ্ট নয়।মাম্পির আইনজীবীর সওয়ালের পর বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত পুলিশের ভূমিকায় প্রশ্ন তোলেন। তাঁর মন্তব্য, “নিম্ন আদালতে বিচারপ্রক্রিয়া চলাকালীন কেউ যদি অভিযোগকারী বা সাক্ষীদের মিথ্যা বলার জন্য হুমকি দেয় শুধুমাত্র সেক্ষেত্রেই ১৯৫ (এ) প্রযোজ্য। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে তা স্পষ্ট বলা আছে। যদি সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ দেখেও কেউ চোখ বন্ধ করে বসে থাকে, তাহলে সেটা আদালত অবমাননার শামিল। ম্যাজিস্ট্রেট কী করেছেন? এমন গ্রেপ্তারির নেপথ্যে মাস্টারমাইন্ড কে? এই মামলাটি কোন অফিসার দেখছেন?” এর পরই জেলবন্দি মাম্পি ওরফে পিয়ালি দাসকে অবিলম্বে মুক্ত করার নির্দেশ দেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। তার পরই শুক্রবার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন পান তিনি। সন্দেশখালির বিজেপি নেত্রীর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া এফআইআরে জামিন অযোগ্য ধারা প্রয়োগের উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করে আদালত। অবশ্য এফআইআরে থাকা বাকি সমস্ত ধারার তদন্ত চলবে। জেলা পুলিশ সুপারের নজরদারিতে তদন্ত চলবে। তবে আদালতের অনুমতি ছাড়া চূড়ান্ত রিপোর্ট পেশ করবে না পুলিশ। আগামী ১৯ জুন মামলার পরবর্তী শুনানি।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *